Print

Rupantor Protidin

আগামীকাল পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ,জানা গেলো আলোচনার বিষয়!

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৮, ২০২৫ , ২:১৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১৮, ২০২৫, ২:১৭ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ‍্যে শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে বড় ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনি সোমবার সকালে টেলিফোনে কথা বলবেন। সেই আলোচনা শুরু হবে আমেরিকার সময় সকাল ১০টায়।

পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং “ন্যাটোর একাধিক সদস্য” এর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “আমি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছি। এই যুদ্ধ বহু বছর ধরে চলছে এবং শান্তির এখনই সময়।”

উল্লেখ্য, এই ঘোষণার মাত্র কয়েকদিন আগেই তুরস্কে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় পুতিন অনুপস্থিত ছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সামনাসামনি আলোচনায় বসেননি তিনি। তার বদলে রাশিয়া পাঠায় নিম্ন পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল, যাদের সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

শুক্রবার রুশ ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে ৯ জন নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনার পর জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেন এবং রুশ শান্তি প্রতিনিধি দলকে “দুর্বল ও অপ্রস্তুত” বলেও কটাক্ষ করেন।

এই সপ্তাহে তুরস্কে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা ছিল ২০২২ সালে ভেস্তে যাওয়া আলোচনার ধারাবাহিকতা। সেই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সংঘাত বন্ধ করে এক নতুন পথ খোঁজা। ইউক্রেন যেখানে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চায়, রাশিয়া সেখানে সামরিক দখলে নেওয়া অঞ্চলগুলো স্থায়ীভাবে দখল করতে চায় এবং জেলেনস্কির সরকারকে সরিয়ে একটি “অস্থায়ী প্রশাসন” বসাতে চায়, যা রাশিয়ার অনুকূলে কাজ করবে এবং পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত রাখবে।

ট্রাম্প বরাবরই এই যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী ছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আলোচনায় অগ্রগতি না হলে তিনি আলোচনার টেবিল ছেড়ে চলে যাবেন। গত মাসে এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, “এই যুদ্ধবিরতি দ্রুতই হওয়া উচিত।”

ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সম্পর্ক অতীতে বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে। হোয়াইট হাউসে একবার তাদের মধ্যে উচ্চ স্বরে বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ এবং পুনর্গঠন চুক্তি সই হওয়ার পর।

সোমবারের আলোচনাই এখন সামনে এই যুদ্ধে শান্তির কোনো বাস্তব রূপরেখা তৈরি হতে পারে কি না, সেটিই দেখার বিষয়।