Print

Rupantor Protidin

প্রশাসনকে ভুলতথ্য দিয়ে রিসিভার নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৭, ২০২৫ , ৭:১৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১৭, ২০২৫, ৭:১৭ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা না করে উপজেলা প্রশাসনকে ভুলতথ্য দিয়ে রিসিভার নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছে ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর এলাকায় নিজের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ইমান আলী মন্ডল। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইমান আলী মন্ডলের ভাতিজা রুবেল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা প্রসাশেনের সহযোগিতায় ভুট্টা উত্তোলন এবং বিক্রি করেন। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের সহযোগিতায় তার জমি থেকে জোরপূর্বক ভুট্টা কেটে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে, যা প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে বলে জানান।

আরো জানা যায়, ১৯৭৭ সালে রাজ উদ্দিন ওরফে রইজ উদ্দিনের কাছ থেকে পাটগ্রাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ১ একর ১ শতক জমি ক্রয় করেন ইমান আলী মন্ডল। এরপর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে উক্ত জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু হযরত আলী নামের একজন ব্যক্তি সম্প্রতি জমিটির ৮২.৫০ শতক জমি নিজের দাবি করে বাধা সৃষ্টি করছেন এবং আদালতে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা করেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতের রায় ইমান আলীর পক্ষে থাকলেও, মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায়, ভুক্তভোগীর দাবি-কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত জমির অবস্থান অপরিবর্তিত থাকার কথা থাকলেও হযরত আলীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় জমি রিসিভার নিয়োগ করে ১৬ মে শুক্রবার জমি থেকে ভুট্টা উত্তোলন করে তা মাত্র ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।

ইমান আলী অভিযোগ করেন, গত ৬ মে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শুনানির জন্য ২০ তারিখে ডেকেও ৭ মে ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজকে রিসিভার নিয়োগ করেন। এরপর ১২ মে কাগজপত্র দাখিলের সময় ইউএনও কেবল হযরত আলীর দলিল দেখলেও ইমান আলীর কাগজপত্র দেখেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ছাড়াও গত ১৫ মে ইউএনও ও থানার ওসি সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়রা জানান ভুট্টা রোপণ করেছেন ইমান আলী। এরপরও ১৬ মে পুলিশ দিয়ে জমি থেকে ভুট্টা তুলে বিক্রি করা হয়।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী জানান, যদি কোন জমিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিসিভার নিয়োগ করা হয় সেই আলোকে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।