Print

Rupantor Protidin

শার্শায় বাজারজাতকরনের

সময়ের আগেই পেঁকে ঝরে যাচ্ছে হিমসাগর আম,বিপাকে চাষী

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৪, ২০২৫ , ৭:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১৪, ২০২৫, ৭:০৭ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরের শার্শায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হিমসাগর আম বাজারজাতকরনের সময় আসার আগেই প্রচন্ড রোদ ও গরমে পেঁকে গাছ থেকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চাষীরা।

কিন্তু প্রশাসনের ভয়ে গাছ থেকে আম পেড়ে বাজারজাত না করতে পেরে চাষীরা পড়েছেন বিপাকে ।

বুধবার(১৪ মে) সকালে শার্শার বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজারে আম বিক্রি করতে আসা চাষীরা সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।

চাষীরা জানিয়েছেন,শার্শা উপজেলা প্রশাসন থেকে আম বাজারজাতকরনের সময় নির্দেশিকা একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছেন।সেখানে আগামী ২১ শে মে থেকে হিমসাগর আম বাজারজাত করনের জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।অথচ সেই সময় আসার আগেই বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড গরম ও রোদে গাছের আম পেঁকে ঝরে পড়ে যাচ্ছে।এমতাবস্থায় চাষীরা প্রশাসনের জরিমানা বা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে আম বাজারজাত করতে পারছেন না। ফলে প্রতিদিন গাছ থেকে ৫ থেকে ৭ কেজি আম ঝরে পড়ে যাচ্ছে।এতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আম চাষীরা।

আম চাষী জয়নাল আবেদীন জানান,হিমসাগর আম বাজারজাত করতে এখনো ৭ দিন বাকী।তবে এর আগেই গাছে আম পেঁকে ঝরতে শুরু হয়েছে কৃষি কর্মকর্তাদের জানালে তারা বাগান পরিদর্শন করে কিছু আম বাজারজাত কারণের প্রত্যায়ন দিচ্ছেন। তবে এ ভাবে আম বাজারজাত করতে তাদের খরচ বেশী হচ্ছে। এ সময় তিনি এ আম বাজারজাত করণের সময় আরো কয়েকদিন এগিয়ে নিয়ে আসার জন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

জুলু নামে আরো এক চাষী জানান,তার বাগানে হিমসাগর আম পেঁকে পড়ে যাচ্ছে বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাতে জানালে তিনি পেঁকে যাওয়া আম বাজারজাত করনের জন্য প্রত্যায়ন দিয়েছিলেন।তবে আম পেড়ে বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে এসে তিনি পড়েছেন বিপাকে। কোন ব্যবসায়ী জরিমানার ভয়ে এ আম কিনছেন না। ফলে তিনি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, একটি গাছে বা বাগানে সব আম একসাথে পাঁকেনা। হিমসাগর আম পেঁকে যাচ্ছে তাদের জানালে তারা বাগান পরিদর্শন করে কিছু আম বাজারজাত করনের জন্য প্রত্যায়ন দিচ্ছেন। তবে যদি সব আম বাজারজাত করতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কারণ যে আমগুলো এখনো পাঁকেনি সে গুলোয় ক্যামিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করতে পারে। এসময় তিনি আম পেঁকে গেলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য চাষীদের অনুরোধ জানান।