Print

Rupantor Protidin

মাদারীপুর সিভিল সার্জন অফিসের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৩, ২০২৫ , ৮:৩৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১৩, ২০২৫, ৮:৩৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান। এসময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রমাণের কাগজপত্র পর্যালোচনার জন্য নিয়ে যায় দুদক।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছর মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে পৃথকভাবে ৬টি প্যাকেজে ওষুধ সামগ্রী, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, লিলেন সামগ্রী, গজ-ব্যান্ডেজ-তুলা সামগ্রী, কেমিক্যাল রিজেন্ট সামগ্রী ও আসবাবপত্র সামগ্রীর দরপত্র আহ্বান করেন। এ দরপত্রে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সবগুলোকে বাদ দিয়ে এমপেক্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানকেই দুই হাসপাতালের কাজ দেওয়া হয়। তবে মূল্যায়ন কমিটিতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্স করার নিয়ম রয়েছে। তার কোনো তোয়াক্কা না করে মাত্র একজনকে রেসপন্স করে অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পাই। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় টেন্ডার সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্রে ৬টি লটে ট্রেন্ডার আহ্বান করা হয়। রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে দরদাতাদের মধ্য থেকে মাত্র একজনকে রেসপন্সিভ করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত সরকারি ক্রয়ের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অসংগতি রয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়।

তিনি আরও বলেন, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে ই-জিপিতে ৬টি লটে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। রেকর্ডপত্র মোতাবেক সকল লটে একজন ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে কেবল একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ায় টেন্ডার সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করা হবে। সকল অভিযানকালে উদ্ঘাটিত ও সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।