ডাকাতিয়া খালের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনার দাকোপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের ওপর হামলা মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ ৮২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) রাতে দাকোপ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে চালনা বাজারে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজন পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ডাকাতিয়ার বিল ইজারা ডাকা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নিচতলায় চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোজাফ্ফর হোসেন এবং খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাকিল আহমেদ দিলু একে অপরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে বিকেলে আবার ওই দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে দাকোপ থানা পুলিশের এএসআই আজাহার উদ্দিনসহ পাঁচজন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইটের আঘাতে এএসআই আজাহার উদ্দিনের মাথার হাড় ভেঙে যায়।

তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা নিউরো সার্জারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ দিকে ঘটনার পর চালনা পৌরসভার ডাকবাংলো মোড় ও আশপাশের এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল সি) শফিকুর রহমান বলেন, ‘আহত এএসআই আজহারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসী ঘটনায় রাতে দাকোপ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’