Print

Rupantor Protidin

সীমান্তে চোরাকারবারিদের বড় চালান ধরা, অর্ধ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১২, ২০২৫ , ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: মে ১২, ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ অভিযানে অর্ধ লাখ পিসের ইয়াবা চালান উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)।

রবিবার (১১ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পরিচালিত এ অভিযানে মাদক চোরাচালানির বড় একটি চালান ধরা পড়ে। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘুমধুম বিওপির একটি বিশেষ অভিযানিক দল সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় আবুল হোসেনের বাড়ির পাশে ধানখেতে কৌশলগতভাবে অবস্থান গ্রহণ করে।

রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কাপড়ের ব্যাগ হাতে করে দুইজন ব্যক্তি সামনের দিকে অগ্রসর হলে ওত পেতে থাকা বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে এবং বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চোরাকারবারি কাপড়ের ব্যাগ ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারে সুযোগে দ্রুত মিয়ানমারের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবির টহল দল কর্তৃক ঘটনাস্থল তল্লাশি করে মাদক কারবারি ফেলে যাওয়া ব্যাগের ভিতরে অর্ধ লাখ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মাদক বহনকারীদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার সকালে ৩৪,বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (কক্সবাজার) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন,”বাহিনীর সদস্যরা দিন-রাত দায়িত্ব পালন করছে। মাদকের চালান আটক ও অপরাধ দমনেই আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় জনমনে স্বস্তি ও শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ দমনসহ মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। সীমান্তবর্তী জনগণের সহায়তায় এ অভিযান সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,চোরাচালানকারীরা রাতের অন্ধকারে সুযোগ নিয়ে সীমান্ত ব্যবহার করে ইয়াবা ঢোকানোর চেষ্টা করে। তবে নিয়মিত টহল ও অভিযানের কারণে তাদের সে চেষ্টা সফল হচ্ছে না।

এদিকে, বিজিবির সফল অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা এ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালানের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিজিবির এই অভিযানে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় শান্তি রক্ষা এবং মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। কোনো চোরাকারবারিকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেছে বাহিনীটি।