যশোরে মা দিবসে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শেকড়ের মা সমাবেশ-২০২৫ এ চারজন মহিয়সী নারীকে রত্নগর্ভা মা হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়েছে। রবিবার শহরের টাউনহল মাঠে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে চারজন মায়ের সম্মননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
যশোরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল অন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান মায়েদের ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানের আহবায়ক হাবিবা শেফার সভাপতিত্বে ও শেকড়ের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসুর সঞ্চলনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন যশোর ইন্সটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা ড. এ্যাঞ্জেলা গমেজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহনাজ পারভীন ও যশোর বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শ্রাবনী সুর।
চারজন মহিয়সী নারীর মধ্যে রয়েছেন মরহুম শামছুন্নাহার বেগম, মরহুম নূরজাহান বেগম ঝরণা, রাজিয়া সুলতানা, সাহানারা খাতুন ও নাজমা খাতুন।
রত্নগর্ভা মা মরহুম শামছুন্নাহার বেগম ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাহাদুর লস্কর, মাতা ছবিরুননেছা। তিনি স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। সেলাই শিল্পে তার দক্ষতা ছিল। ১৯৬২ সালে যশোর সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়ার লাউখালী গ্রামে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামসছুদ্দিন বিশ্বাস ও মরিয়ম বিবির সন্তান আমজাদ আলী বিশ্বাসের সাথে তার বিবাহ হয়।
শামছুন্নাহার বেগমের সাত সন্তানের মধ্যে প্রফেসর ডা. মিজানুর রহমান বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ, আনিছুর রহমান মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক, প্রফেসর ড. মাহাবুবুর রহমান ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের সরকারি মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ, তবিবর রহমান একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী, আতিয়ার রহমান আমাদের বাড়ি যশোরের ডাইরেক্টর, এলিজা পারভীন ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার ফয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, রোমেনা খাতুন গৃহিনী।
রত্নাগর্ভা মা মরহুম নূরজাহান বেগম ঝরনা ১৯৫৬ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আজিজুল ইসলাম মাতা আনোয়ারা খাতুন। তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তার পরিবার কলকাতা থেকে ১৯৫৬ সালে বাংলাদেশের কোঠচাঁদপুর উপজেলায় চলে আসে। ১৯৬৭ সালে চৌগাছার ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান কামাল উদ্দিনের সাথে তার বিবাহ হয়।
তার সাত সন্তানের মধ্যে সামিয়া করিম বি.এ আমেরিকাতে বসবাসরত, নার্গিস ইসলাম বি.এ ঢাকায় বসবাসরত, ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, যশোর সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক, ইসমত আরা গৃহিনী ঢাকায় বসবাসরত, জেসমিন আক্তার গৃহিনী ঢাকায় বসবাসরত, ইশতিয়াক আহম্মেদ বি.এ আমেরিকায় বসবাসরত ও সাবরিনা আক্তার গৃহিনী ঢাকায় বসবাসরত।
রত্নাগর্ভা মা রাজিয়া সুলতানার জন্ম ১৯৫৭ সালে মাগুরা জেলায় ব্যবসায়িক পরিবারে। পিতা রফিউদ্দিন আহম্মেদ ও মাতা নূরজাহান বেগম। দশ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় তিনি। ১৯৭২ সালে মাগুরার পুলম গ্রামে খন্দকার মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও হামিদা খাতুনের সন্তান শিক্ষক এনামুল কবিরের সাথে তার বিবাহ হয়। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী।
রত্নাগর্ভা মা মোছাঃ সাহানারা খাতুনের জন্ম ১৯৭২ সালে যশোরের শার্শা উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামে। তার পিতা আব্দুল মালেক ও মাতা মোছাঃ আলেজা বেগম। তার বিবাহ হয় খলিলুর রহমানের সাথে। তিনি পাঁচ সন্তানের জননী।
রত্নাগর্ভা মা নাজমা খাতুনের জন্ম ১৯৬৮ সালে কুষ্টিয়ার আড়োয়াপাড়ায়। তার পিতা মোবারক হোসেন খান ও মাতা ছাকেলা বেগম। ১৯৮৩ সালে তার কুষ্টিয়ার হাউজিংপাড়ায় আলাউদ্দিনের তার বিবাহ হয়। তিনি তিন সন্তানের জননী।