Print

Rupantor Protidin

জামিন পেলেন বাসস এমডি মাহবুব মোর্শেদ

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৮, ২০২৫ , ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

মানহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন মাহবুব মোর্শেদ। শুনানি শেষে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২৩ মার্চ দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বাসস এমডিসহ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম এবং ফটো সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরজি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

পোস্টে বলা হয় ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়ার অবমাননা করেছেন তা পড়ে দেখতে আপনাদের অনুরোধ জানাই। মন থেকে এমন ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’

আসামি খায়রুল আলমও গত ১৬ জানুয়ারি তাঁর ফেসবুক আইডিতে এই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা।’

রপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুকে আইডিতে লেখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’ এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা খায়রুল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে।