Print

Rupantor Protidin

তালের রস খেয়ে মনিরামপুরে অসুস্থ ২৬ জন

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৭, ২০২৫ , ৮:৩২ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ৮:৩২ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরের মনিরামপুরে তালের রস খেয়ে অন্তত ২৬ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১৩ কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের সকলের বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে।

তালের রস খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে নয় জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, মনোহরপুর গ্রামের জালাল সরদারের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার (১৬), বাবুল বিশ্বাসের স্ত্রী নূরুন নাহার (৩৮) ও ছেলে বদিরুজ্জামান মুন্না (১৮), ইব্রাহিম আলমের মেয়ে তাহাসিনা জান্নাত তোয়া (৪), মারুফ হোসেনের ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬) এবং মাসুদ সরদারের ছেলে মাহফুজ হোসেন (৪), সুভাষ দাসের ছেলে পরশ দাস (১২) ও আকাশ দাস (১৪) এবং লক্ষণ দাসের মেয়ে বর্ষা দাস (১২)। এদের মধ্যে প্রথম ছয় জন কেশবপুর ও পরের তিনজন অভয়নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ইতিমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার ও মাহফুজ হোসেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

হাসপাতাল ভর্তি রোগীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনিরামপুরের মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস কিনে খান তারা। পরেরদিন শুক্রবার সকাল থেকে তাদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় শনিবার তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরুন নাহার বলেন, বাজার থেকে ছেলে তালের রস খাওয়ার পর বাড়িতে বোতলে করে নিয়ে এসেছিল। ওই তালের রস খেয়ে বমি, পাতলা পায়খানাসহ জ্বর শুরু হয়। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শনিবার হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। এখন কিছুটা ভালোর দিকে গেছে।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার ফারুক মিন্টু বলেন, মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস খেয়ে প্রায় ২৬ জনের পেটের অসুখ দেখা দেয়। তাদের অবস্থা এখন মোটামুটি ভাল।

অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে আমাদের হাসপাতালে মনিরামপুরের মনোহরপুর এলাকার সাত জন ভর্তি হয়েছেন। রোগীরা বলেছেন তারা তালের রস খাওয়ার পর বাড়ির খাবার খেয়েছেন। এরপর পেটের সমস্যা দেখা দিলে তারা হাসপাতালে আসেন। অসুস্থদের মধ্যে তিন জন ভর্তি আছেন। চার জন বাড়ি ফিরেছেন।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ওই রোগীরা এখন আশঙ্কামুক্ত। এদের ভেতর দুই জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।