যশোরের মনিরামপুরে এক বোরো চাষির পাকা ধানের স্তূপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ইত্যা মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে। আগুন লেগে কৃষকের ১৪ কাঠা জমির ধান পুড়ে ছাই হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম আতিয়ার রহমান। তিনি ইত্যা বাজার এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জেরে ধানের স্তূপে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত চাষির।
আতিয়ার রহমান বলেন, এক বিঘা জমির বোরো পাকা ধান কেটে আঁটি বেধে বাড়ি আনার জন্য খেতে চারটি স্তূপ করে রেখেছিলাম। এক বিঘার মধ্যে ১৪ কাঠার ধান একস্থানে পাশাপাশি দুই স্তূপে রাখা ছিল। শনিবার দিবাগত রাতে ট্রলিতে ভরে ধান বাড়ি আনার কথা ছিল। আমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে চালকের অপেক্ষায় ইত্যা বাজারে বসে চা পান করছিলাম। এ সময় একজন এসে মাঠে আগুন জ্বলার কথা বলেন। তখন বাজার থেকে কয়েকজন মাঠে গিয়ে দেখি আমার জমির ধান আগুনে পুড়ছে।
আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা ১০০-১৫০ জন লোক ছিলাম। আগুনের তাপ এত বেশি ছিল যে কেউ কাছে ভিড়তে পারিনি। আমার খেতের পাশে বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র আছে। আগুন নেভাতে সেচযন্ত্র চালুর পরপরই লোডশেডিং দেখা দেয়। তখন নিরব দাঁড়িয়ে ধানের স্তূপ পুড়তে দেখা ছাড়া আমাদের কিছু করার ছিল না।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আরও বলেন, দুই বিঘা জমি ইজারা ও এক বিঘা জমি লিজ নিয়ে মোট তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। যে জমিতে সবচেয়ে ভাল ফলন হয়েছে সেই জমির ধান শত্রুতা করে পুড়িয়ে দিয়েছে। আগুন লেগে অন্তত ৩০-৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ধানের স্তূপ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ইত্যা এলাকায় বোরো চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খেতের সোনালী স্বপ্ন নিরাপদে বাড়ি তোলা নিয়ে তাঁদের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আতিয়ার রহমানের জমির পাশের জমির বোরো চাষি রাজু হোসেন বলেন, এক জায়গায় বসবাস করতে গেলে মানুষে মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে। তাই বলে কোন মানুষ কারও এমন ক্ষতি করতে পারে না। যে বা যারা ধানের স্তূপে আগুন দিয়েছে তারা অমানুষ।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ধানের স্তূপে আগুন দেওয়ার ঘটনা অমানবিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।