Print

Rupantor Protidin

যশোরে বুক প্যালেসে নকল বই বিক্রি প্রতিবাদে বই ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৬, ২০২৫ , ১০:১৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোর শহরের প্যারিস রোডের বুক প্যালেসে নকল, চোরাই ও সৌজন বই বিক্রি প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে অন্য বইয়ের দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ করে।

বই ব্যবসায়ীরা জানান যতদিন নকল, চোরাই ও সৌজন্য বই বিক্রি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দোকান বন্ধ থাকবে। ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে বকু প্যালেসের মালিক বজলুর রহমান মানিক দোকান বন্ধ করে ছটকে পড়েন।

জেলা পুস্তক, প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান জানান, বুক প্যালেসের মালিক বজলুর রহমান মানিক চোরাই, সৌজন্য ও অস্পষ্ট বই বিক্রি করে। গ্রামের মানুষ এস বই কিনে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এ অনিয়মের কারনে দেড় বছর আগে পুস্তক, প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করে। তারপরও তার এসব বই বিক্রি করা বন্ধ হয়নি। সমিতির নিয়ম যে লাইব্রেরি থেকে বই বিক্রি করবে, তার সিল মেরে দিতে হবে। অথচ বুক প্যালেস থেকে বই বিক্রি করা হলেও সিল মেরে দেয়া হয় না। শুক্রবার বুক প্যালেসের মালিক চোরাই বই ক্রয় করেন। একারনে সমিতির কর্মচারীরা ছুটি কাটাতে পারেনা।

সমিতির সহসভাপতি কবির হোসেন জানান, বুক প্যালেসে চোরাই নকল বই বিক্রি করে। এ দোকানের মালিক বিভিন্ন দোকানের নামে বই কিনে বিক্রি করে। শনিবার আমরা খবর পেয়ে বুক প্যালেসে এসে ৭ প্যাকেট নকল বই উদ্ধার করি। জানতে পারি বইগুলো শিখা বুক ডিপোর নামে এনেছে। অন্য বইয়ের দোকানদারদের বিক্ষোভের মুখে বুক প্যালেসের বজলুর রহমান মানিক অন্য জায়গা ছিটকে পড়েন।

এ বিষয়ে বুক প্যালেসের মালিক বজলুর রহমান মানিক জানান, যারা আমার দোকান বন্ধ করেছে, এরা সকালে আমাকে পৌর পার্কে ডেকেছিল। তারা দুই দিন আগে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করেছিল। তারা নকল বিক্রি অপবাদ দেয়। সরকার নিষিদ্ধ বইকে নকল বই বলা হয়েছে। যশোরের সব বইয়ের দোকানে নকল বই বিক্রি হয়। ২০ দিন আগে লেকচারের ৪র্থ শ্রেণির ৫সেট ৫ম শ্রেণির ৪সেট নোটবই বের করে বলে নকল বই বিক্রি করছে। কয়েকজন মিলে সব বইয়ের দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ করে। দোকান ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়ার খবর পেয়ে আমি দোকান বন্ধ করে চলে যায়। বাড়ির অন্য সদস্যরা সেখানে আসে।