Print

Rupantor Protidin

ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হলো পহেলগাম

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৪, ২০২৫ , ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ৪:৩৩ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাম। এখানকার উপত্যকায় পর্যটকদের ঢল নামে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ত্রাসী হামলার পর মুহূর্তে সব বদলে গেছে। পর্যটকে গিজগিজ করা পহেলগাম রাতারাতি পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে নগরে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পর সব ধরনের দোকান-পাট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে। অলিগলিতে তল্লাশি চৌকি। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কঠোরভাবে।

ঘটনার পর পরই বিপুল সেনা পহেলগামে প্রবেশ করে। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা অবস্থান নিয়েছে। কখন কাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ধরে নিয়ে যায় তার ঠিক নেই। আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

পর্যটকরা যে যার মতো পহেলগাম ছেড়ে যাচ্ছেন। কেউ সহায়তা চাইলে পুলিশ পহেলগাম ছাড়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বুধবার সকালের মধ্যেই অধিকাংশ জম্মুর দিকে চলে গেছেন। বন্ধুদের কয়েকটি দল থেকে গেলেও তারা সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দানা রসুলি রেস্তোরাঁর মালিক ওমর মাজিদ বলেন, কী ঘটে গেল বুঝতে পারছি না। আমরা বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। এক দিন আগেও শত শত ক্রেতা আমার রেস্তোরাঁয় আসতেন। আজ শাটার খুলতেও পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বাঁচানো যাবে না।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স নামের গোষ্ঠীটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা এক বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক নতুন বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, লক্ষ্যবস্তু করা ব্যক্তিরা সাধারণ পর্যটক ছিলেন না। বরং তারা ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের হয়ে কাজ করছিলেন।

ওই দিনই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে গিয়েই তিনি হামলাকারীদের ধ্বংসে ব্যবস্থা নেওয়ার হুংকার দিয়েছেন। অবশ্য তার ‍হুংকারের আগেই অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনারা।