Print

Rupantor Protidin

অভিবাসন প্রক্রিয়া সঠিক হচ্ছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২০, ২০২৫ , ২:৩৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ২:৩৭ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

নিজের ও পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে প্রতিনিয়ত নিজ মাতৃভূমি ছাড়ছেন হাজারো প্রবাসী। যাদের শ্রম-ঘামে পাঠানো অর্থই দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে ভূমিকা রাখছে। তবে কাজের জন্য বিদেশে যাওয়ার আগে প্রবাসীদের নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ করে দালালদের দৌরাত্ম্য।

নানা প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা বিদেশে নেওয়ার কথা বলে প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে দেশের শ্রমবাজারে। তাই বিদেশে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) মতে, কিছু বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকলে নিরাপদ অভিবাসন সম্ভব।

নিরাপদ অভিবাসনের জন্য ধাপসমূহ হলো :

১. বৈধ পাসপোর্ট

২. কর্মসংস্থানের ভিসা

৩. বিমানের টিকেট

৪. নিয়োগপত্র/চুক্তিপত্র বা কন্ট্রাক্ট ফরম, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে

৫. বিএমইটি’র ছাড়পত্র বা স্মার্ট কার্ড

৬. গন্তব্য দেশের জন্য সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়

৭. চাকরির বিবরণ, বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি

৮. বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির নাম ও ঠিকানা

৯. দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে আপনার নিকটস্থ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ

১০. বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া। কেবলমাত্র চেক/পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে সরাসরি এজেন্সির সাথে লেনদেন করা। সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির তথ্যের জন্য আপনার নিকটস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে যোগাযোগ করা। বিএমইটির ওয়েবসাইট হতেও (www.bmet.gov.bd) তথ্যাদি চেক করা।

১১. চাকরি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর শরণাপন্ন না হওয়া। এতে অর্থ অপচয় ও মানব পাচারের শিকার হতে পারেন। আপনার নিজ জেলা/নিকটস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) হতে রেজিস্ট্রেশন ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট করুন, রেজিস্ট্রেশন ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট মানেই বিদেশ যাওয়ার নিশ্চয়তা নয়। যাবার আগে ভিসা ও চুক্তিপত্রের যথার্থতা যাচাই করে জেনে বুঝে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা।

১২. জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে বহির্গমন ছাড়পত্র (স্মার্ট কার্ড) নিয়ে বৈধ উপায়ে বিদেশ যাওয়া।
৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট) ব্যতীত সমুদ্র পথে বা অন্য কোন পথে বিদেশ গমন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

১২. আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে জামানতবিহীন ঋণ গ্রহণ করা

১৩. বিদেশ যাত্রাকালে বিমানবন্দরে সাহায্যের প্রয়োজন হলে বিমানবন্দরস্থ প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহায়তা নেওয়া ।

১৪. গন্তব্য দেশের আইন, নিয়মকানুন ও সংস্কৃতি মেনে চলা। কোনো সমস্যায় পড়লে সেদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/মন্ত্রণালয়/বিএমইটি তে/অনলাইন অভিযোগ (ovijogbmet.gov.bd) দাখিল করা।

এসব বিষয় যথাযথভাবে অনুসরণ করলে নিরাপদে বিদেশে যাওয়া সম্ভব।