Print

Rupantor Protidin

প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৭, ২০২৫ , ১২:৩০ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান।

এদিন মেঘনাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানিট্র‍্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।

এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুনানিতে মেঘনা আলমকে ‘মেঘলা আলম’ সম্বোধন করলে আসামি মেঘনা তার নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে বলেন। এরপর বিচারক আসামিদের পক্ষে কোন আইনজীবী আছেন কিনা জানতে চান। মেঘনা আদালতকে বলেন, আমাদের কোন আইনজীবী নেই।

এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে মেঘনা বলেন, আমার নাম মেঘনা, মেঘলা নয়। এখনে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তার কাছে যেতে পারবেন?

এরপর বিচারক তাকে থামিয়ে মামলা সম্পর্কে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। এরপর মেঘনা বলেন, আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে।

আমাকে বলা হয়েছে, আমি কোনো আইনজীবী পাবো না। সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসার সঙ্গেই শুধু আমার সম্পর্ক, অন্য কারো সঙ্গে না। তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। ইসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি।

এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সাথে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়।