ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী
যশোর কারবালা কবরস্থানের গেটগুলো তালা মেরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনমাস ধরে গেইটগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যার ফলে, কবর জিয়ারত করতে না পারছেন মৃতের স্বজনরা। তাই এলাকাবাসীসহ সবাই যশোরের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষুব্ধ। ক্ষুদ্ধ জনতা কয়েকদিন আগে গেটের তালা ভেঙ্গে কবর জিয়ারত করেছে। কিন্তু তারপর আবারো তালা মেরে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, কারবালা মসজিদ, কবরস্থান ও মাজারে ৫টি গেট রয়েছে। ২০০২ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে গেটগুলো স্থাপন করা হয়। পাঁচটি গেটের মধ্যে পশ্চিম পাশের গেট দিয়ে মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। ওই গেটটি বেশির ভাগ সময় খুলে রাখা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব দিকের গেট দিয়ে খড়কী ও স্টেডিয়াম পাড়াবাসি কবরস্থানে কবর জিয়ারত করতে আসেন। তিন মাস ধরে গেটগুলো বন্ধ থাকায় মানুষ কবর জিয়ারত করতে পারছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে এমন ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম কবরস্থানের সবগুলো গেইট তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গরু ছাগলের দোহাই দিয়ে মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি তিনমাস ধরে তালা মেরে রেখেছেন। গেইটগুলোতে হ্যাসবোল্ট আছে। যা ব্যবহার করে মানুষ কবরস্থানে ঢুকতে পারেন। হ্যাসবোল্টের সুবিধা হলো পাহারাদার না থাকলে গেইট ফাঁকা থাকবে না। তাছাড়া গেইটে পাহারা দেয়ার জন্য লোক নিয়োগ দেয়া রয়েছে। মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কবরস্থান তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদ কমিটির এক সদস্য জানান, তিন মাস আগেও কবরস্থানের গেটগুলো ফজরের নামাজের সময় খুলে দেয়া হতো, বন্ধ করা হতো এশার নামাজের পর।
বর্তমানে মাহমুদ নামে মসজিদ কমিটির এক সদস্য কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে কবরস্থানের প্রবেশের গেটগুলো তালা মেরে রাখেছে। এ কারণে যেসব মানুষের স্বজনদের কবর দেয়া রয়েছে কবরস্থানে তারা কবর জিয়ারত করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
কবরস্থান পবিত্র রাখার জন্য তালা মেরে রাখা হয়েছো বলে জানালেন মসজিদের উন্নয়ন ফান্ডের টাকা আদায়কারী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গেট খোলা থাকলে কবরস্থানর গরু-ছাগলেল উপদ্রোব বাড়ে। সেই সাথে মাদকসেবীরা কবরস্থানের ভেতর ঢুকে মাদক সেবন করে। এজন্য গেটগুলো তালা মেরে রাখা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাবেক সদস্য সোহেল আল মামুন নিশাদ বলেন, কবরস্থান স্পর্শকাতর জায়গা। সেখানকার গেটগুলো তালা মেরে রাখা দুঃখজনক। আমরা যখন দায়িত্বে ছিলাম ওই সময় গেট গুলো তালা মারা থাকতো না। নিয়মিত পাহারাদার থাকতো। এখনো পাহারাদার থাকে। কিন্তু কেন তালা মেরে রাখা হয়েছে এটা কারো বধগম্য নয়। তালাবদ্ধ রাখার কোন যৌক্তিতা নেই। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
কারবালা মসজিদ কমিটির সহসভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে কবরস্থানের গেট তালা মেরে রাখা হয়েছে। এটা কারা করছে খতিয়ে দেখা হবে। এটা মোটেই শোভনীয় হচ্ছে না। ফজরের নামাজের সময় থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত গেট খুলে রাখা হবে। এটাই কমিটির সিদ্ধান্ত।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও কারাবালা
মসজিদ কমিটির সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, কারবালা কবর স্থানের গেট তালা মেরে রাখার বিষয় আমার জানা নেই। আগামী মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।