Print

Rupantor Protidin

ঈদ ছুটিতে ৮ দিন পর চালু হলো বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর

প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৫, ২০২৫ , ৯:০৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ৯:০৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

ঈদুল ফিতরের টানা ৮ দিনের ছুটি শেষে আবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

শনিবার সকাল ১১ টা থেকে রেল ও সড়ক পথে দুই দেশের মধ্যে মধ্যে চালু হয় বন্দরের কার্যক্রম।

এদিকে আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আবারও ফিরেছে চিরচেনা কর্মব্যস্ততা। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যের সঙ্গে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ বন্দর, কাস্টমসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামিম হোসেন জানান, সরকারি ছুটি শেষে পুনরায় এ পথে আমদানি-রফতানিসহ সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এরআগে গত ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল ৮ দিন এ পথে বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় বন্দরেও জমেছিল পণ্যজট। খালাস শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে এই জট।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ২৫০ ট্রাকের মতো পণ্য রফতানি হয়। বন্দর থেকে দিনে ৫০০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়।
আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৫০ কোটি টাকার মতো।

বন্দরের তথ্য মতে, যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ৭০ শতাংশ পণ্য আমদানি হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও আট হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানি বাণিজ্য থেকে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়।

বর্তমানে খাতা কলমে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও শুক্রবারে বন্ধ থাকে। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন শনিবার বন্দর থেকে কাঁচা মাল খালাসের সুযোগ থাকলেও অনান্য ব্যাংক বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রম হয় না। একদিন বানিজ্য বন্ধ থাকলে প্রায় ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হয়। এ হিসাবে গত ৮ দিন বানিজ্য বন্ধ থাকায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে সরকারের।