Print

Rupantor Protidin

ধর্ষকের হাত কামড়ে-চিৎকার করে রক্ষা

চৌগাছায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ চাচার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৬, ২০২৫ , ৩:১৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ

রূপান্তর প্রতিদিন

যশোরের চৌগাছায় ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি চাচা মোঃ মিঠুর (২৮) বিরুদ্ধে। এসময় শিশুটি ধর্ষক মিঠুর হাতে কামড়ে দেয় এবং চিৎকার দেয়। এতে অন্য প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে মিঠু পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। রোববার (১৬মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মহেশপুর সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে ভুক্তভোগি ও অভিযুক্তর বাড়ির পাশেই মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
নিগ্রহের শিকার শিশুটি জানায়, প্রতিবেশি চাচা মিঠু তাকে বলে তোর বু (দাদি) মাঠে পাতা (জ্বালানির জন্য মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের পাতা) কুড়িয়েছে। আনতে তোকে ডাকছে। এ কথা শুনে সে মিঠুর সাথে মাঠে যায়। কিন্তু মিঠু তাকে মাঠের পেয়ারা বাগানসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে চায়।
তখন শিশুটি বলে কই বু’ তো নেই, পাতাও নেই। আমি বাড়ি যাবো। আমাকে বাড়ি নিয়ে চলেন। মিঠু তখন শিশুটিকে বলে তুই নিজের মতো চলে যা। শিশুটি বলে, আমি বাড়ির রাস্তা চিনতে পারছিনে। পাকা রাস্তায় (মাঠের মাঝ দিয়ে পাকা রাস্তা গ্রামে গেছে) উঠিয়ে দেন। আমি যেতে পারবো। মিঠু তখন বাগানের মধ্য দিয়ে একটি কবরস্থানের পাশ দিয়ে তাকে নিয়ে যেতে চায়। শিশুটি যেতে না চাইলে তাকে বলে তোকে কিন্তু মারবো। শিশুটি কেন মারবেন বলে বিতর্ক করলে মিঠু মেয়েটির বুকের মাঝে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তার ওপর চড়ে বসে জোরাজুরি করতে থাকে। এমনকি তার গায়ের জামাও ছিড়ে ফেলে।
শিশুটি চিৎকার করতে করতে এক পর্যায়ে ধর্ষক মিঠুর হাতে কামড়ে দেয়। এসময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশিরা এবং মাঠে কর্মরত কৃষকরা এগিয়ে আসলে মিঠু শিশুটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির দাদি ও মা-চাচিরা ঘটনস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
ঘটনার সংবাদ পেয়েই চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ধর্ষককে আটক করতে অভিযানে রয়েছেন। পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা অভিযানে রয়েছি। এখন পর্যন্ত (২.৪৫মিনিট) অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।