Print

Rupantor Protidin

রুল অফ কমান্ড এর তোয়াক্কা না করে

দাদুর হাতে জাদুর কাঠিতে চলেছে শালিখা উপজেলায় মৎস্য অফিস

প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৯, ২০২৫ , ৩:১০ অপরাহ্ণ | আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৫, ৩:১০ অপরাহ্ণ

রূপান্তর প্রতিদিন

শালিখা উপজেলার মৎস্য অফিস কি এমন দাদুর হাতে জাদুর কাঠিতে চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে? এমন সব  প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। সরকারি নিয়মের রুল অফ কমান্ড এর তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ পনের বছর একই চেয়ারে বসে দুর্নীতি ও অনিয়মের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস নামে একজন ক্ষেত্র সহকারী।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট বা ক্ষেত্র সহকারীর চাকরি নিয়ে সমগ্র উপজেলায রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ইউনিয়নের নেতাদের তেলবাজি করে একটা মজবুত অপকর্মের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। মৎস্য অফিসের এনটিপি প্রকল্পের সরকারি কাজে নিয়োজিত অফিসারদের ব্যবহার গাড়ি তিনি বিগত পনের বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কর্মকান্ডে ও পাশের নিজ উপজেলা যশোরে নিয়ে ব্যাক্তিগত কাছে ব্যবহার করে আসছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের ধরে উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারে বেনামে বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।এখনও তার বাসায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ফেক সেন্টারের সরকারি প্রকল্পের ব্যবহার আলমারি, কেবিনেট,চেয়ার টেবিল দিয়ে উপজেলা কোয়ার্টারে টগর ২ ভবনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে আসছে। প্রকল্প শেষে যেগুলো গোডাউনে রাখা কথা।
ক্ষমতার স্বেচ্ছাচারিতায় শালিখা কোয়ার্টারে আবাসিক ভবনের দো তলায় মাটির চুলা সেট করে সরকারি গাছের ডালপালা কেটে শুকিয়ে রান্নার কাজ করে আসছে যেগুলো দীর্ঘদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক প্রতিবেশী জানায় দেবাশীষ পরিষদের গাছের ডালপালা কাটার জন্য বাড়ি থেকে সাড়ে তিন শো টাকার একটা কোটা ছুরি বানিয়ে এনে ছাদে গিয়ে ছোট ছোট করে গাছের ডাল কেটে তা শুকিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রান্নার কাজ করে আসছে যা এখনও বর্তমান।
এসব স্বেচ্ছাচারীর সাহসের যোগানদাতা তৎকালীন সরকারের শালিখা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক দীপঙ্কর মজুমদারের হাত ধরে, এরা তৎকালীন ফেসিষ্ট সরকারের ফসট কর্নার ধর্মীয় সংগঠনের মধ্যে থেকে এবং তার লগো ব্যবহার করে এমন সব বহু অপকর্মের কথা ধরা পড়ে।উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন দেবাশীষ বিশ্বাস তাদের গোডাউনে থেকে কোন রকম টেন্ডার না মেনে এক করিমন ভরে বিভিন্ন আসবাবপত্র উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছি । তাছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের স্থানীয় জনবল নিয়োগের বিজ্ঞাপন টানিয়ে ছবি তুলেই সেটা শুধু তার লোকদের দিয়েই সব উঠিয়ে ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ আছে। এমন সব অভিযোগ মাগুরা জেলা অফিসারকে অবহিত করলে তিনি এই মাসের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন,, কিন্তু সে মাস  শেষ হলেও এখনও শালিখায় বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শোনা যায় মাঝ মাঝে এমন অভিযোগে বদলী হলেও এক মাস পাশে উপজেলায় ঘুরে এসেই আবার উর্ধ্বতনকে উৎকোচের ব্যবস্থা করে আবার শালিখা আস্তানায় ফিরে এসে স্বীয় অপকর্মে সুচতুরতার সাথে চলমান রাখে।এ এছাড়াও তিনি ২০১০-১২/১৩ সালের দিকে নিজ গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের এক প্রকল্পে চাকরিতে থেকে ও এই চাকরির বেতন ঐ চাকরির বেতন কয়েক মাসের জড়িয়ে তুলেছিল বলে জানা যায় যা কখনও ফেরত দেয়নি।বাঘারপাড়া উপজেলার হাসপাতালে খোঁজ নিলেই সকল তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। দেবাশীষ বিশ্বাস বাঘারপাড়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামের পার্বতী বিশ্বাসের ছোট ছেলে গ্রামেও তাদের বহু অপকর্মের কথা জানা যায়।