Print

Rupantor Protidin

এক ছটাক ধান-চাল সংগ্রহ হয়নি

মহেশপুরের কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়েছেন দেড় মাসে

প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ , ৬:১৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ৬:১৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সংগ্রহের দেড় মাস পার হলে এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধান-চাল সংগ্রহ হয়নি ঝিনাইদহের মহেশপুর সরকারি খাদ্যগুদামে। চাল কেনার জন্য কিছু সংখ্যক মিলমালিকদের সাথে চুক্তি হলেও সময়ের মধ্য ধান পাওয়ার আর কোন সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ।

বিগত দিনে কৃষক হয়রানিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামের কৃষকরা। এছাড়াও বাজার দরের চেয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে দাম কম হওয়ায় মিলমালিকরা চাল বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে মহেশপুর উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহের অবস্থায় একেবারে সংকটপূর্ণ ।

গত ১৭ নভেম্বর সরকারি ভাবে আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও গুদামে ধান-চাল বিক্রিতে কোন কৃষক কিংবা কোন মিলমালিক কোন প্রকার আগ্রহ দেখাননি। ফলে এখন পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহের ফলাফল শূন্য। ধান-চাল কেনার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

উপজেলা খাদ্য গুদাম নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর আমন মৌসুমে ৪১২ মেঃ টন চাল ও ১৩৭৭ মেঃ টন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি ভাবে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা ও চালকল মালিকদের কাছ থেকে সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা দরে ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় । পৌর এলাকার কৃষক আছির উদ্দিন ও শরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানায়, চলতি বছরে বাজারে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪০০ টাকায় ধান বিক্রি করেছেন ।

খাদ্য গুদামে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩২০ টাকা ।  এখানে খাদ্যগুদামে দরের চেয়ে বাজারে বেশি দামে ধান বিক্রিতে বেশি টাকা পেয়েছেন তারা।  এছাড়া গুদামে ধান বিক্রিতে বাড়তি খরচ ও হয়রানি শিকার হতে হয় বলে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেননি।

মহেশপুর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, এখন পর্যন্ত কোন কৃষক ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে আসেননি। চালক্রয়ের জন্য কিছু মিল মালিকদের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। তবে সময়ের মধ্য ধান পাওয়ার আর কোন সম্ভবনা নেই।