ছবি : কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি না নিয়ে মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী গাছের মোটা ডাল কেটে ফেলেছেন প্রধান শিক্ষক।
যশোরের মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী কয়েকটি গাছ ছেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আবুল বরকত
মোহাম্মদ ফকর উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ের কয়েক জাতের অন্তত ১০টি গাছের মোটা ডাল কেটে নিলেও তার কিছুই জানেন না বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউএনও নিশাত তামান্না। তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি, গাছ ছাটতে লিখিত অনুমতি লাগার বিষয়টি জানা নেই। ইউএনওর কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা বা ছাটার প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন প্রধান শিক্ষক।
এরপর ইউএনও সরেজমিন তদন্ত করে গাছ কাটার প্রয়োজন হলে দরপত্র আহবান করে প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে গাছ কেটে বা ছেটে বিক্রির ব্যবস্থা করবেন। অভিযোগ রয়েছে মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে এসবের কিছুই করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছায় শতবর্ষী ১০টি গাছের মোটা ডাল শ্রমিক দিয়ে কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আবুল বরকত মোহাম্মদ ফকর উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয় চত্বরে পাতা পড়ে শহীদ মিনার ময়লা হচ্ছে। এজন্য ইউএনওকে মৌখিকভাবে গাছের ডাল কাটার বিষয়ে জানিয়েছি। এরপর ৫-৭টি গাছের ডাল কেটে ২৫ মণ জ্বালানি আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানে কিছু বেঞ্চ তৈরির দরকার। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ তৈরির খরচ সরকার সবসময় দেয় না। বিদ্যালয়ে আসেন, চা খান, তখন বাকি কথা বলা যাবে। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, শহীদ মিনারের উপরের কয়েকটি চেকন ডাল ছাটাইয়ের কথা প্রধান শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন। তাকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। তদন্ত করে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।