Print

Rupantor Protidin

ভারতের মণিপুরে দুই নারীকে বিবস্ত্র করার ঘটনায় চার্জশিট

প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১৭, ২০২৩ , ১:৩৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ১:৩৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

হিংসাদীর্ণ মণিপুরে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সোমবার (১৬ অক্টোবর) মামলার চার্জশিট জমা দিল। চার্জশিটে রয়েছে মোট সাত জন অভিযুক্তের নাম। তাদের মধ্যে এক জন নাবালক।

চলতি বছরের গত ৪ মে ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কংপোকপি এবং থৌবল জেলার সীমানাবর্তী এলাকায় দুই কুকি জনজাতির নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। গণধর্ষণ করা হয় বলেও দাবি। কিছু দিন আগে ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ২৬ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

এর পর দুই নির্যাতিতার এক জন গত ৪ মের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান। তার দাবি, খুনের ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা সে দিন তাদের জনসমক্ষে পোশাক খুলতে বাধ্য করেছিল। জানান, সেই ঘটনা নিয়ে গত ১৮ মে কংপোকপি জেলার বি ফাইনম গ্রামের প্রধানের সাহায্যে ওই জেলারই সাইকুল থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। দায়ের করেছিলেন, ‘জিরো এফআইআর’।

প্রসঙ্গত, ‘সাধারণ এফআইআর’ বলে, ঘটনাস্থল যে থানা এলাকায়, এফআইআর দায়ের করতে হবে সেখানেই। কিন্তু ‘জিরো এফআইআর’ যে কোনও থানায় দায়ের করা যায়। অপরাধের ঘটনা যে থানার এলাকাতেই ঘটুক না কেন। ওই থানা অভিযোগ তখন সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ, এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে নির্যাতিতা বা তার পরিবারের লোকেদের ঘটনাস্থলের থানায় যেতে হয় না।

ওই মহিলা জানান, সে দিন তার বাবা এবং ভাইকে খুন করেছিল উন্মত্ত জনতা। কিন্তু অভিযুক্তদের কেউ গ্রেপ্তার হননি। ওই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয় নানা মহল। তার পরেই একে একে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। অত্যাচারের ভিডিয়ো যিনি তুলেছিলেন, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার ফোন। মণিপুরের বিজেপি সরকারের মতের ভিত্তিতে গত ২৭ জুলাই মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২৯ জুলাই নিয়মমাফিক এফআইআর দায়ের করে মামলার তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই।