Print

Rupantor Protidin

প্রকাশ্যে দখল হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের টানেল সড়ক

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৯, ২০২৪ , ৬:১০ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ৬:১০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

আনোয়ারায় ৬ লেন টানেল সংযোগ সড়কের ৫ কিলোমিটারের বেশি সড়কের দুই পাশে চলছে দখল প্রতিযোগিতা। এ সড়কের দুই পাশের অধিগ্রহণের ভূমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা দালান, ভাসমান দোকানসহ নানা স্থাপনা। ৬ লেইন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগে এমন দখল বেদখলের প্রতিযোগিতায় সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বর্তমানে এ সড়কের বিভিন্ন ভাসমান স্থাপনায় চলছে কিশোরগ্যাং এর আড্ডা। ফলে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই ও সামাজিক অপরাধ। সেই সাথে দুর্ঘটনা আর যানজট।

সরেজমিনে দেখা যায়, টানেল ছয় লেন সংযোগ সড়কের কালাবিবি মোড় থেকে চাতরি চৌমুহনী বাজার পর্যন্ত এ সড়কের দুই পাশের অধিকাংশ ভূমি অবৈধ দখলদারেরা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। একই সাথে এ সড়কের কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন অংশে দখর প্রতিযোগিতা চলছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানায়, বর্তমানে সড়ক বিভাগে জনবল সংকটের কারণে সঠিকভাবে তদারকি কাজ হচ্ছে না। বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই কালাবিবি দীঘি মোড় থেকে চাতরি চৌমুহনী বাজারের দুই পাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি দখল করে বাণিজ্যিক স্থাপনা, দোকানপাট নির্মাণ করে দখল করে আছে। এদের এতো দাপট কিছু বললে উল্টো আমাদের হুমকি দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইকবাল বলেন, টানেলের কারণে আনোয়ারা কর্ণফুলীতে সড়কের দুই পাশের জমির পরিমাণ ৮/১০ গুণ বেড়ে গেছে। যার কারণে বর্তমানে চাতরি চৌমহনী বাজার থেকে কালাবিবি মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবৈধ দখল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় একটি বিশেষ চক্র সড়কের জমি দখল করে মার্কেট ভাড়া দোকান নির্মাণ করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মইনুদ্দিনের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার নীরব সম্মতিতে এসব ভূমি দখল হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধ দখল চক্ররা স্থাপনা নির্মাণ করে চললেও উপজেলা প্রশাসনও নীরব। এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন অভিযান না
থাকায়, অপরাধীরা দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী বলরাম চাকমা জানায়, টানেল সংযোগ সড়কের বিভিন্ন অংশের ভূমি কতিপয় ব্যক্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। অল্প কিছুদিন পর আমরা এই ব্যাপারে
অভিযানে নামবো।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানায়, সড়কের বিষয়টি সড়ক বিভাগের। তাই এ বিষয়ে আমাদের তেমন কিছু করার থাকে না।