Print

Rupantor Protidin

বিদেশি অপারেটরের হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের আরও ৪ টার্মিনাল

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১০, ২০২৪ , ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২৪, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তের পথ ধরেই চট্টগ্রাম বন্দরে আরও চারটি টার্মিনাল যাচ্ছে বিদেশি অপারেটরদের হাতে। এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকায় নির্মিত টার্মিনালটি সৌদি কোম্পানিকে অপারেটর হিসেবে দেওয়া হয় মাত্র ২২০ কোটি টাকায়। এ অবস্থায় বিদেশি অপারেটর নিয়োগে বারবার দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, যে চারটি টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো হলো কনটেইনার টার্মিনাল-১ (বে টার্মিনাল), কনটেইনার টার্মিনাল-২ (বে টার্মিনাল) ও লালদিয়ার চর টার্মিনাল এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এসসিটি) ও ওভার ফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড (ওসিওয়াই)। এর মধ্যে বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-১-এর জন্য জিটুজি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের পিএসএ সিঙ্গাপুর (পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি); বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-২- এর জন্য দুবাইয়ের ডিপিওয়ার্ল্ড (দুবাই পোর্ট অথরিটি) এবং লালদিয়ার চর প্রকল্প বাস্তবায়নে ডেনমার্কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই তিনটি প্রকল্পে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার হিসেবে আইএফসিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আইএফসি প্রকল্পের ইনসেপশন রিপোর্ট দাখিল করেছে। এ ছাড়া চতুর্থ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এসসিটি) ও ওভার ফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ডটিতে দুবাইয়ের ডিপিওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জিটুজি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

গত ১৭ অক্টোবর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওই প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে বিদেশি অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সভায় উপস্থিত থাকা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. গোলাম রাব্বি বলেন, বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-১, যা পিপিপি জিটুজি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের পিএসএর মাধ্যমে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন; বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-২ পিপিপি জিটুজি ভিত্তিতে দুবাইয়ের ডিপিওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়াধীন। আর লালদিয়ার চর প্রকল্পটি ডেনমার্কের সঙ্গে পিপিপি জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে। এগুলো আগের সিদ্ধান্তের আলোকেই বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বে টার্মিনাল-১, বে টার্মিনাল-২, লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল জিটুজি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত। চারটি প্রকল্পেরই নিয়োজিত ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার ফিজিবিলিটি স্টাডি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এর মধ্যে বে টার্মিনাল-১ এবং ২- এর ফিজিবিলিটি স্টাডির কার্যক্রম অ্যাডভান্সড পর্যায়ে রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সচিব মো. ওমর ফারুখ বলেন, ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত না থাকায় বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-১-এর জন্য জিটুজি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরের পিএসএ এবং বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল-২ একইভাবে দুবাইয়ের ডিপিওয়ার্ল্ড ও লালদিয়ার চর প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ডেনমার্ক। এ ছাড়া নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এসসিটি) ও ওভার ফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ডটিতে জিটুজি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।