Print

Rupantor Protidin

শিক্ষার্থীদের এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু আজ

প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১৫, ২০২৩ , ৭:০২ অপরাহ্ণ | আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ৭:০২ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে মেয়েদের জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- গ্যাভির সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রথমে ঢাকা বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকায় প্রথম পর্যায়ে এ কর্মসূচি চলবে মোট ১৮ দিন। এরমধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান করা হবে। পরে আটদিন টিকাদান চলবে নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে।

৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীরা  অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে এ টিকা নিতে পারবে।

এর আগে গত ২ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর নিপসম অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমপ্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

টিকাদান প্রসঙ্গে ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ জানান, সারভারিক্স ভ্যাকসিনটি ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৯৫ শতাংশ কিশোরীকে নিশ্চিত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আমরা তিনটি ধাপে সারা দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনা করব। প্রথম পর্যায় সম্পন্ন করে পর্যায়ক্রমে পাওয়া সাপেক্ষে আমরা টিকাদান কর্মসূচি ঘোষণা করব।

তিনি বলেন, প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুজন কিশোরীকে দেয়া হবে। এটি এক ডোজের টিকা, যা মাংসপেশিতে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৩১ দেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা দেয়া হয়েছে আর সারভিক্স টিকাটি ২৪টি দেশে দেয়া হয়েছে।