সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সরুলিয়া গ্রামে পরকীয়া প্রেম ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ও তার ভাই মো. সেলিম হোসেন জানায়, প্রায় ১৬/১৭ বছর আগে সরুলিয়া গ্রামের মৃত আবু তালেব গাজীর পুত্র লালটু গাজীর সাথে আমার বোন পারভীনা খাতুন (৩৮) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমার ভগ্নিপতি আমার বোনকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। এ যন্ত্রনা সহ্য করে আমার বোন ৩টি সন্তান নিয়ে ঘর সংসার করে আসছে। সম্প্রতি আমার ভগ্নিপতি পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে এবং সে সারাক্ষণ অনলাইন জুয়ায় বিভোর থাকে। সাংসারিক কোন বিষয়ে খোজ খবর নেয় না। আমার বোনের বড় মেয়ে মুর্শিদা খাতুন (১৮) কে সম্প্রতি বিবাহ দেওয়া হলেও পিতা হিসাবে আমার ভগ্নিপতি তার মেয়ের কোন খোজ খবর নেয় না। আমার বোন তার মেয়ের খোজ খবর নিতে গেলে সে প্রায়ই সাংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত্র ১০ দিকে আমার ভগ্নিপতি বাজার থেকে বাড়িতে গিয়ে আমার বোন পারভীনাকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আমার বোনের অবস্থা বেগতিক হলে প্রতিবেশী ও তার সন্তানেরা তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী পারভীনা খাতুন আরও জানায়, আমি আমার স্বামীর নির্যাতন এতদিন মুখবুজে সহ্য করেছি। এখন আর সহ্য করতে পারছিনা। এক্ষনে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আমার আর কোন উপায় নাই।
এব্যাপারে ভুক্তভোগীর স্বামী লালটু গাজীর কাছে বিষয়টি জানার জন্য বার বার মোবাইলে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।