যশোরের প্রগতিশীল চিন্তাবিদ উদীচী ও বিবর্তন যশোরের উপদেষ্টা প্রবীণ আইনজীবী মঞ্জুরুল হক আর নেই। তিনি শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় বেজপাড়ায় নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। তিনি অনেকদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
মরহুমের ছেলে এডভোকেট সোহেল শামীম জানিয়েছেন, এদিন বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে কানাডা প্রবাসী তার ছোট বোন কাকলী (মরহুমের ছোট মেয়ে) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবরটি তার বাবাকে দিতে গিয়ে দেখতে পান এডভোকেট মঞ্জুরুল হক অসুস্থতা বোধ করে শুয়ে আছেন। এসময় তিনি মৃত্যু সংবাদ না দিয়ে বাবার সেবা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার বাবা রাত সাড়ে ১০টার দিকে সবার মায়া ত্যাগ করে চলে যান।
এডভোকেট মঞ্জুরুল হকের মৃত্যুর সংবাদে যশোরের আদালত অঙ্গনসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমের কফিন সকাল ১১টার দিকে যশোর উদীচী ও এর পরে বিবর্তন যশোর চত্বরে আনা হয়।
এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা জাসদ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রবিউল আলম, যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু, সাবেক সহসভাপতি এডভোকেট শহীদ আনোয়ার, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস ইভা, গ্রামের কাগজের প্রকাশক সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি দিপংকর দাস রতন, সাংস্কৃতিক জোট সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, উদীচী যশোর সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, হারুণ অর রশিদ, অধ্যাপক শাহীন ইকবাল, জাসদ নেতা এডভোকেট আবুল কায়েশ, শরীফ আহম্মেদ বাপ্পী প্রমূখ।
আজ শনিবার জোহারের নামাজের পর বেজপাড়া সাদেক দারোগা মোড় মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে বেজপাড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।