Print

Rupantor Protidin

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে, ১৭ দিনে এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৯, ২০২৪ , ৫:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ৫:৩৪ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এতে হঠাৎ করেই কমে যায় রেমিট্যান্সের গতি। এর ফলে টানা ৩ মাস রেমিট্যান্স ২ বিলিয়নের বেশি এলেও জুলাই মাসে হঠাৎ ২ বিলিয়ন ডলারের নিচে চলে আসে।

তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ আবারো বেড়ে যায়। চলতি মাস আগস্টের প্রথম দিকে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও পরে তা বেড়েছে বহুগুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাস আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে দেশে বৈধ পথে ১১৪ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টের প্রথম ৩ দিন পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর শুধু ৪ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশে ব্যাংক আরো জানিয়েছে, আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৪ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বেশি।

এ সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ২ ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ডলারের বেশি আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে সাড়ে ২১ লাখ ডলার। আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্য রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরপরই তার দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আত্মগোপনে চলে যেতে শুরু করেন। প্রশাসনেও আসে ব্যাপক রদবদল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেব দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।