Print

Rupantor Protidin

দুদকের মামলা

চট্টগ্রামে ভুয়া বিলে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১২, ২০২৪ , ৭:০২ অপরাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২৪, ৮:০২ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সাবেক হিসাবরক্ষকসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারি পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামিরা হলেন- ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মুহাম্মদ ফুরকান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফররুখ হোসাইন মিন্টু, তার ভাই মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন ও কর্মচারি মুকিত মন্ডল।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত জানান, ভুয়া মঞ্জুরি ব্যয় সৃষ্টির মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ টাকা বিল ছাড় করানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৩-১৪ সালে ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ শয্যাসহ অন্যান্য সামগ্রীর পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মালামাল সরবরাহ করে আহম্মদ এন্টারপ্রাইজ। যন্ত্রপাতির ত্রুটি থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেগুলো গ্রহণ করেনি। মালামাল ত্রুটি ও টেন্ডারসংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে এ ঘটনায় দুদকে একটি মামলা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তন্ত শেষে সেটির অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি বিচারাধীন থাকায় বিল পরিশোধ করা হয়নি।

২০২২ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফোরকান পরষ্পর যোগসাজসে ভুয়া মঞ্জুরি ব্যয় তৈরি করে সিভিল সার্জনের একক স্বাক্ষরে বিল তৈরি করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠায় করে। তবে সেটি ছাড় না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে।
জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছাড় করে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ৫১১ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

২০২২ সালের জুন মাসে ওই ঘটনার পর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসায় ফোরকানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেন জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর ফোরকানকে চট্টগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জে বদলি করা হয়েছিল।