Print

Rupantor Protidin

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলো

প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২৪ , ৮:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: আগস্ট ২, ২০২৪, ৮:২৪ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

এক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ের শেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, জুন শেষে যা ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ তথ্যে এ তথ্য পাওয়া যায়। দেশের বৈদেশিক হিসাবের ওপর ক্রমাগত চাপ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে চাপে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। গত মাসের ১০ তারিখে মে-জুন সময়ে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর আমদানি বিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করাই এর কারণ। মে-জুন মাসে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, এর তিন সপ্তাহ পর জুলাইয়ের শেষে রিজার্ভ কেবল ২ কোটি ডলার বাড়ে।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে, যদিও ডলার বিক্রির পরিমাণ আগের চেয়ে কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার রাখার একটা সীমা থাকে, তার চেয়ে বেশি ডলার ব্যাংকে থাকলে অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনেও নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ডলার বিক্রি ও আকু পেমেন্ট করলে রিজার্ভ কমে যায়। আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনলে রিজার্ভ বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জুলাই শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, জুন শেষে তা ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন।

আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চুক্তি বাস্তবায়নে জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ কমপক্ষে ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রাখার শর্ত ছিল। সেই শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়। নিট রিজার্ভের তথ্য এর আগে কখনই প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করছে।