অভয়নগরে চাঞ্চল্যকর হাবিব হত্যার ঘটনায় ৪ আসামিকে আটক ও হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে যশোর ডিবি ও থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে যশোর ডিবি’র এস আই মফিজুর রহমান ও অভয়নগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ দাস’ এবং ভাটপাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মানিক কুমার শাহা’র নেতৃত্বে আটককৃত আসামিদের নিয়ে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন’র মধ্যপুর বালিরমাঠ সংলগ্ন ভৈরব নদে তীরে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত একটি রড’ দুইটি ক্রিকেট স্টাম ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এর আগে সন্দেহ ভাজন আসামি মেহেদী হাসানকে রাত আনুমানিক ১.৪৫ মিনিট সময়ে অভয়নগর থানা ও ডিবি যশোরের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে আটক করা হলে আসামি মেহেদীর শিকারোক্তি মারফতে একই রাত আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটে মো. হুমায়ুন শেখ (২১) কে পরে ফয়সাল শেখকে রাত আনুমানিক ৩.৩০ ও খন্দকার আল আমিন (৩০) ভোররাত ৪.টা ১৫ নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। পরে আটককৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার ভৈরব নদের একজনের লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশ উদ্ধার তার পরিচয় সনাক্ত করা হয়। তিনি উপজেলা মধ্যপুর এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান। অভয়নগর থানা ও ডিবি যশোরের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে মেহেদী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার শিকারোক্তি মোতাবেক অন্য অসমীদের আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে নৌ পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। লাশের হাতে ও পায়ে বালুর বস্তা বাঁধা অবস্থায় উপুড় হয়ে ভাসছিল। মৃত তরুণের নাম হাবিবুর রহমান (২৭), তিনি উপজেলার মধ্যপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। সোমবার সন্ধ্যায় তারা ভৈরব নদে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায়। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় নদে মরদেহটি ভাসতে দেখে ফের পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এরপর পুলিশ বিকেল তিনটার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। হাবিবুর রহমানের মরদেহটি নাইলনের দড়ি দিয়ে শরীরের পেটের দিকে প্যাঁচানো ছিল এবং হাত ও পায়ের সাথে চারটি বালুর বস্তা বাঁধা ছিল। পেটের ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল, যেখান থেকে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল।