Print

Rupantor Protidin

প্রকাশ্যে হাতুড়ি পেটা, আসামি ধরাতে অভিযান অব্যাহত

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২৪ , ৭:৪৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুন ৮, ২০২৪, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

মাগুরার শালিখা উপজেলার শালিখা ইউনিয়নের হাজরাহাটি গ্রামে সামাজিক দলাদলি বিরোধের জের ধরে মোশারেফ মোল্যা (৪৫) কে একই গ্রামের আনোয়ার গাজী (৩০) সহ সঙ্গবদ্ধ ৭/৮ জন হাতুড়ি পেটা করে সাংঘাতিকভাবে জখম করেছেন বলে থানায় এজাহার করা হলে পরবর্তী মামলা হয়, যাহার নাম্বার-০৩।

স্থানীয় সূত্র এবং মামলার বাদির কাছ থেকে জানা যায়, গত ৪/৫/২০২৪ ইং তারিখে ফিল্ম স্টাইলে মামলার প্রধান আসামী আনোয়ার গাজী (৩০) পিতা মৃত রহমান গাজী, হাজরাহাটি, শালিখা, মাগুরা তার ক্লিনিকের কর্মচারী স্বর্ণা খাতুন (২০) পিতা-ফারুক, সাবেক খাটর, শালিখা, মাগুরা কে দিয়ে মামলার বাদি মোশারেফ মোল্ল্যাকে ফোন করান।

স্বর্ণা খাতুন মোশারেফ কে এই মর্মে ফোন করে যে আমার কিছু সিমেন্টের পিলার তৈরি করতে হবে, মাপ নিয়ে অর্ডার নিয়ে যান। শালিখা থানাধীন সোনাকুড় গ্রামস্থ সোনাকুড় ব্রিজের পূর্বপাশে উক্ত ফোনের আলোকে ঘটনার দিন বেলা আনুমানিক ১১ঃ৩০ মিনিট পৌঁছালে, অল্প কিছু সময়ের মধ্যে তিন চারটি মোটরসাইকেল যোগে প্রধান আসামি আনোয়ারসহ অজ্ঞত ৭/৮ জন আমাকে ঘিরে ধরে, এমতাবস্থায় আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই আসামী আনোয়ার গাজী হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করতে যায়, আমি মাথা সরিয়ে নিলে আমার পিঠে আঘাত লাগলে ঘটনাস্থলে পড়ে যায় তখন বাকি ৭/৮ জন আমাকে পায়ের হাঁটু এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে এমতাবস্থায় আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে আমি আকুতি মিনতি ও চিৎকার করতে থাকি, চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে আসামিরা আমার কাছে থাকা অর্থ এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়, পরবর্তীতে আমার ছেলে নাঈম (১৮) কে সংবাদ দিলে স্থানীয় কিছু লোকজন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে সাক্ষী টিপু সুলতান সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, স্থানীয় মেম্বার ইমদাদুলের ছোট ভাই আনোয়ার এলাকায় একটি সঙ্গবদ্ধ উশৃংখল লোকজন নিয়ে গ্রামে বিশৃঙ্খলার করে আসছে বহুদিন ধরে, এদিকে ৪ মে তারিখে মোশারেফ ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে ৭/৮ জন মিলে এলোপাতারি আঘাত করে ফেলে যায়, আমরা দ্রুত উক্ত মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতার দেখতে চাই, তা না হলে গ্রামে আইন-শৃঙ্খলার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলাটির তদন্ত অফিসার লিটন গাজী মুটো ফোনে রূপান্তর প্রতিদিনের প্রতিবেদক জানান, উক্ত মামলার প্রধান আসামির ক্লিনিকে গতকালও অভিযান চালিয়েছি এবং অভিযান অব্যাহত রেখেছি ইনশাল্লাহ দ্রুত আসামিদ্বয় এবং অজ্ঞতনামা আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।