Print

Rupantor Protidin

এ বাজেট কালো টাকার বাজেট : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২৪ , ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: জুন ৮, ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

গতকালের ঘোষিত বাজেটকে কালো টাকার বাজেট বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিভাবে কালো টাকা সাদা করা যাবে, সেটির বাজেট। লুটপাটের বাজেট।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া’র গৃহীত কর্মসূচি ও নীতি : বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব ও পল্লী উন্নয়নের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-ময়মনসিংহ, সোনালী দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা গঠন করতে চাইলেও সে বিষয়ে কিছুই জানতো না, তারা সবাই লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। আর ১৯৭৫ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে অন্যান্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মাঠের মানুষের কাছে গেছেন, কৃষকদের সাথে হেঁটেছেন, খাল কেটেছেন। মাঠ পর্যায় থেকে তিনি উন্নয়নকে নিয়ে এসেছিলেন। এজন্য তাকে কেউ ভুলতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, এটা আওয়ামী লীগ স্বীকার করুক আর না করুক। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ত্রাণকর্তা হিসেবে তার আবির্ভাব হয়েছিল।’

রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন খাতের স্বচ্ছতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দুর্নীতি দমনসহ অন্যান্য খাতেও কোনো দিক নির্দেশনা নেই বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।

“ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে (পরিবহন খাত) সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি। এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি চুরি হয় বলেই সেখানে করাপশন (দুর্নীতি) বেশি। আনপ্রোডাক্টিভ (অনুৎপাদনশীল) খাতগুলো- ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে আমাদের অবকাঠামো তৈরি হয় ঠিকই কিন্তু সেগুলো তো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

‘কর্মসংস্থান কোথায়’– সেই প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মানুষ কাজ পায় না। ঢাকা শহর থেকে যারা ছোট-খাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করত, চাকুরি করত; তারাও সব গ্রামে চলে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামে গিয়েও কোনো লাভ নাই, কাজ নাই। একটা ভয়াবহ অবস্থা।”

সভার অন্য বক্তাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “একজন এখানে বলেছেন, কৃষি বিপ্লব, শিল্প বিপ্লব। এইসব কথা বলে কোনো লাভ হবে না। যদি আমরা এই ভয়াবহ দানব, মনস্টার; পুরোপুরি মনস্টার- একে যতক্ষণ পর্যন্ত সরাতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমার তথা সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা আসবে না।

“অনেকে (অন্য বক্তারা) বলেছেন, এই সরকার মিথ্যার ওপরে টিকে আছে। সকল পরিসংখ্যান ফলস (ভুয়া), বানানো, তৈরি করা। আপনি কার ওপর ভিত্তি করে প্ল্যানিং করবেন?”

তার ভাষায়- “সর্বত্র এখন বেনজীরের দুর্নীতি, এখন সব দিকে বেনজীর। আমাদের সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর; আমাদের সাবেক সেনাপ্রধান- তিনিও বেনজীর।”

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে তরুণ প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

অন্যদের মধ্যে বাকৃবি সোনালী দলের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং বাকৃবি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।