মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের ছোনগাছা গ্রামে শুক্রবার দুপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। পিস্তলসহ একজনকে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে শ্রীকোল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটির লোকজন এবং ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার চাদ আলী গ্রুপের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। কারন হিসেবে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিরোধ চলে আসতেছে। এরই সূত্র ধরে ছোনগাছা গ্রামের রাজা শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৫) ও ইউসুফ শেখের ছেলে এনামুল শেখ (২২) তাদের বন্ধু চঞ্চল (২৩) এর মাতার জানাজায় দোশতিনা যাওয়ার সময় ছোনগাছা গ্রামের হাসান শেখের স্ত্রী তহিরুনের (৩৫) দোকানের সামনে পৌঁছাইলে কুটি মিয়ার লোকজন ওদের পথ আটকায়। তখন অভিযুক্ত সুমন (২৫) তার সাথে একটি পিস্তল বের করলে কুটি মিয়ার লোকজন তাকে আটক করে ফেলে। তখন সুমনের সাথে থাকা এনামুল শেখ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত সংবাদ পেয়ে কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়ার ছোটভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শরীয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজন তার লোকজন নিয়ে পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হলে রাজন তার গাড়ী নিয়ে ছোনগাছা গ্রামের মহিদুলের দোকান পার হলেও তার সাথে মোটরসাইকেলে থাকা খামারপাড়া গ্রামের রবির ছেলে সাগর (৩৩) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিল্টনকে (৩৩) ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য চাঁদ আলী মেম্বার গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শরীয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে চাঁদ আলী মেম্বার গ্রুপের লোকজনের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। শরীয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজন এর লোকজন চাঁদ আলী মেম্বার গ্রুপের প্রায় ৫০ টি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেন। কুটি মিয়ার লোকজন কর্তৃক পিস্তলসহ আটক সুমন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে। আহতরা বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে আবারও বড় ধরনের সংঘাত ঘটতে পারে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ তাসনীম আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।