Print

Rupantor Protidin

স্বতন্ত্র পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে জবি শিক্ষকদের সাড়ে ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৪, ২০২৪ , ৪:০৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুন ৪, ২০২৪, ৪:০৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস ক্লাস নেয়া থেকে বিরত থাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

মঙ্গলবার সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মার্কেটিং বিভাগসহ অনেক বিভাগেই শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল, শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশব্যাপী চলমান শিক্ষকদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। পরবর্তী কর্মসূচিতে যাতে যাওয়া না লাগে, তার আগেই আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির পালন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু থাকলেও এই সময়ে শিক্ষকরা কোনো ধরনের ক্লাস নেয়নি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

এর আগে, গত রোববার (২৬ মে) একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এদিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তার আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ সংগঠন।