টানা আট মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে। ইসরায়েল যেকোনও মূল্যে হামাসকে নির্মূল করতে চায়। অন্যদিকে পাল্টা প্রতিরোধে গাজায় এখনও অবস্থান ধরে রেখেছে হামাস।
এর মধ্যে চলছে যুদ্ধবিরতির আলোচনাও। হামাস বলছে, যুদ্ধের পরও তারা গাজায় থাকবে। তবে গাজায় হামাসের শাসন আর কোনোভাবেই মেনে নেবে না ইসরায়েল। এমন ঘোষণাই দিয়েছে আগ্রাসী এই দেশটি।
সোমবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
তবে ইসরায়েল সরকারের বেশ কয়েকজন সদস্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিচ ও জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার আগে গোষ্ঠীটির সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি সইয়ের বিরোধী তাঁরা।
গাজার রাফায় কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, রাফার ৩৬টি আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দাদের চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এতে আশ্রয়শিবিরগুলো এখন খালি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপগুলো পরিচালনা করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের বিকল্প শাসক খুঁজে বের করার বিষয়টি মূল্যায়ন করছে।’