Print

Rupantor Protidin

স্ত্রী-সন্তানের নামে অবৈধ সম্পদ

প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৯, ২০২৪ , ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

আমরা জানি-মেধা, শ্রম ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থসম্পদের মালিক হওয়ার সুযোগ সমাজে আছে। তবে তা হতে হবে আইন ও নিয়মের মধ্যে। পরিতাপের বিষয়, সমাজে একশ্রেণির মানুষ অবৈধ উপায়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। আরও ভয়াবহ ব্যাপার-তাদের অনেকেই আবার নিজেকে সন্দেহের বাইরে রাখতে অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ স্ত্রী-সন্তানের নামে রাখছে অথবা বিনিয়োগ করছে। ফলে স্ত্রী-সন্তানের আয়ের উৎস না থাকলেও তারা বনে যাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তবে অনেক ক্ষেত্রেই শেষ রক্ষা হচ্ছে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে দুর্নীতিবাজের পাশাপাশি তাদের স্ত্রী-সন্তানরাও আইনের আওতায় আসছেন।

দুদকের অনুসন্ধান ও মামলায় বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবী, পেশাজীবী ও রাজনীতিকের সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসছে। ফলে অন্যের নামে সম্পদ করেও সেসব দুর্নীতিবাজ তো পার পাচ্ছেনই না, সঙ্গে ফাঁসছেন তাদের স্ত্রী-সন্তানও। এমনকি স্বামীর অপরাধলব্ধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করতে গিয়ে স্ত্রীর কারাবাসের নজিরও রয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত রবিবার বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের আরো ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের নামে থাকা আরো ১১৩টি দলিলের সম্পদ ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক এবং অনেকগুলো কম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।