Print

Rupantor Protidin

ঋণখেলাপি প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদদের অভিমত

রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া খেলাপিদের ধরা অসম্ভব

প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৮, ২০২৪ , ১:০০ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ২৮, ২০২৪, ১:০০ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সরকার ঋণখেলাপিদের ধরতে চায়। এবার ঋণখেলাপিদের ধরা হবে।’ সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে এমন কথা বলা হচ্ছে। এর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানামুখী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ধরার কাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এর প্রয়োগ শুরু হবে। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, ঋণখেলাপিদের ধরতে হলে সবার আগে লাগবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা। রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া ঋণখেলাপিদের ধরা সম্ভব হবে না। এছাড়া ঋণখেলাপিদের ধরতে হলে বর্তমানে প্রচলিত আইনেও অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ঋণখেলাপিদের ধরতে আলাদা আদালত বসাতে হবে। এজন্য সৎ ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকারদের অভয় দিতে হবে। তাদেরও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঋণ বিতরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে। যাতে নতুন ঋণ খেলাপি হতে না পারে।

খেলাপি ঋণ আদায় বাড়ানো এবং ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা সোমবার এসব কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত করতে নতুন নীতিমালা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য থাকার পরও যাঁরা পরিশোধ করবেন না, তারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নিলে বা ঋণের অর্থ যাঁরা অপব্যবহার করবেন, তাঁরাও ইচ্ছাকৃত খেলাপি হবেন। এ ধরনের খেলাপি চিহ্নিত করতে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে দেশের সব ব্যাংককে আলাদা ইউনিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশের আইনে নেই। ভারত ও পাকিস্তানের পর এখন বাংলাদেশেও একই উদ্যোগ নেওয়া হলো।