Print

Rupantor Protidin

শিক্ষার মানোন্নয়নে জোর দিন

প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৭, ২০২৪ , ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: মে ২৭, ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

আগামী ৫ জুন এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে, অথচ অনেক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে নির্ধারিত আসনসংখ্যার অর্ধেক শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি।

কমে গেছে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যাও। প্রতিবছর আড়াই থেকে তিন হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী এলেও এ বছর আবেদনই এসেছে দেড় হাজার।

ফলে অনেক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পাওয়া ফি দিয়ে সারা বছরের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কিত।

সাধারণ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। আমাদের বেকার সমস্যা ক্রমেই মহামারি আকার ধারণ করছে। আমরা এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্যের সুবিধা পাচ্ছি, কিন্তু এ নিয়ে তেমন সুষ্ঠু পরিকল্পনা দেখা যায় না। যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা এই জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে তুলতে পারি। এতে দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার জন্য ডিজিটালাইজেশনের পথে হাঁটা জরুরি, যা কোভিড-১৯ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় সবই অপ্রতুল, সে জায়গায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় না তৈরি করে বিদ্যমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন জরুরি।

স্পষ্টতই আমাদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় জোর দেওয়া দরকার। জ্ঞানের কাজ হলো নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করা, সেখানে আমরা পুরোনো দ্বারে ঠেস দিয়ে বসে আছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় নামমাত্র বরাদ্দ রেখে বড় ব্যয় হয় অবকাঠামো উন্নয়নে। শিক্ষার গুণগত মানের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া প্রয়োজন মনে করছি।

 

 

এগুলো গুরুত্বসহ বিবেচনার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষত, রাজনৈতিক বিবেচনা, সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা না বাড়িয়ে মানের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার ও ইউজিসিকে সবার আগে উদ্যোগী হওয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি।