Print

Rupantor Protidin

পাইকগাছায় ১৫ দিনেই পুলিশ

দস্যুতাবৃত্তির মামলার রহস্য উন্মোচন করলো; গ্রেফতার-১

প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৬, ২০২৪ , ৮:১৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ২৬, ২০২৪, ৮:১৮ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

খুলনার পাইকগাছায় ১৫ দিনেই পুলিশ দস্যুতাবৃত্তি’র মামলার রহস্য উন্মোচন করে সুমন শেখ (৩৫) নামে একাধিক মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছেন। সে পৌরসভার সরল গ্রামের মৃতঃ গনি শেখের ছেলে। শনিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তুষার কান্তি দাসের নেতৃত্বে এসআই অমিত দেবনাথ, এএসআই পলাশ শেখ ও কনস্টেবল ইমরান সরল পুকুর পাড় থেকে সুমনকে আটক করেন।

মামলা সুত্রে জানাগেছে, গত ৯ মে পৌরসভার সরল গ্রামে গভীর রাতে চিরঞ্জিত-লতিকা মন্ডল দম্পতি ও তাদের কন্যাকে আটকে রেখে ত্রাস সৃষ্টি করে ৩ ভরি স্বর্ন ও ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চিরঞ্জিত মন্ডল বাদী হয়ে থানায় ৩৯৪ ধারায় মামলা করেণ,যার নং-১৩। জানাগেছে, ঘটনার রাতে এ দম্পত্তি ও তাদের মেয়ে বাতিখালীর পূজা মন্দিরে আয়োজিত নামযজ্ঞের শেষে কীর্ত্তন গান শুনতে আসে। রাত দেড় টার দিকে তারা বাড়িতে পৌছে যার-যার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।

দুর্বত্তরা গভীর রাতে দোতলা বাড়ীর বাড়ির গ্রীল কেটে দরজা ভেঙ্গে প্রথমে লতিকার রুমে প্রবেশ করে। শব্দ পেয়ে লতিকা চিৎকারের চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকে ভয়ভীতি ও স্বামী-সন্তানের হত্যার হুমকি দিয়ে তার কানের ২টি স্বর্নের দুল ও হাতের আংটি ছিনিয়ে নেয়। এর পর তারা পাশের মেয়ের কক্ষে প্রবেশ করে। একই ভাবে ত্রাস সৃষ্টি করে মেয়ের মুখ বেঁধে গলার চেইন ও ব্যাগ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে সবাইকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে দুর্বত্তরা বাহির থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা সবাইকে উদ্ধার করলে ঘটনা জানাজানি হয়।

আলামত হিসেবে সাবল ও ব্যাগ উদ্ধারের তথ্য দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর ( তদন্ত) তুষার কান্তি দাস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি ঘটনায় জড়িত অন্য দু’জনের নাম প্রকাশ করেননি।

এ বিষয়ে ওসি মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র-ডাকাতির প্রস্তুতি, চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।