Print

Rupantor Protidin

নানা বৈষ্যমতায় বিএডিসিতে বীজ দিতে অনীহা বগুড়া জোনের চাষীদের

প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৬, ২০২৪ , ১:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ২৬, ২০২৪, ১:৩৪ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

প্রান্তিক র্পযায়ে চুক্তিবদ্ধ চাষীদের মাঝে নানা জাতের ধানের বীজ বিতরণ এবং প্রতি মৌসুমে বীজ সংগ্রহ করে আসছে কৃষি মন্ত্রনালয়রে আওতাধীন বাংলাদশে কৃষি উন্নয়ন র্কপােরশেন (বিএসডিসি)। তবে নানা ধরণের সুবিধা থেকে বঞ্চতি হওয়ায় এবং বৈষম্যতার কারণে কৃষি বীজ উৎপাদন ও বিপণনকারী এই সরকারী প্রতিষ্ঠানে বীজ দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বগুড়া জোনের চুক্তিবদ্ধ কয়েক শত চাষী।

 

 

সরকাররে নানামুখী উদ্দ্যোগে সাধারণ কৃষক যখন ধান উৎপাদন করে তা বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাচ্ছে, তখন বিএসডিসিতে বীজ প্রদানের চুক্তিভিত্তিক হয়ে অনেকাংশে লোকসানে পড়তে হচ্ছে চাষীদের। এ নিয়ে গত সপ্তাহের বুধবার রাতে বিএডিসি চুক্তবিদ্ধ চাষী সমিতির কেন্দ্রীয় নির্দেষের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের বাস র্টামিনালে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সমিতিটির বগুড়া জোনের চাষীবৃন্দ। তারা সকলে বিএডিসিতে চুক্তবিদ্ধ এবং বগুড়া কন্ট্রাক্ট জোন এবং অধিক বীজের অধেনি বছরের পর বছর ধরে ধান সহ অন্যান্য বীজ উৎপাদন করে আসছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন র্কপােরেশনে বীজ দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনডিসি চুক্তবিদ্ধ চাষী সমিতির বগুড়া জোনের সভাপতি নিপু মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল রেজা চৌধুরী লেবু, তাজুল ইসলাম, আহসান হাবিব, আব্দুল কাদের, জিন্নাহ সিদ্দীকি এবং আসাদুজ্জামান লুটি (মাস্টার) সহ আরো অনেকে।

 

তাদরে দাবি, বিএডিসিতে বীজ দেওয়ার ২ মাসের মধ্যে এক কিস্তিতে পুরো টাকা
পরিশোধ করতে হবে, চাষীদরে মাঝে বীজ বিতরণের সময় প্রকারভেদে বীজের
ক্রয়মূল্য ঘোষণা করতে হবে এবং একর প্রতি ২ টন বীজ বিএডিসিতে নিয়ে যেতে হবে, উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে চাষীদরে কাছে বীজ সরবরাহ করতে হবে। বীজ সংগ্রহরে র্পূবে র্পযাপ্ত খালি বস্তা সরবরাহ এবং সরকারী গাড়ি ব্যবহার করে চাষীর কাছে থেকে শতভাগ বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে।

বিএডিসি চুক্তিবোধী চাষী সমিতি বগুড়া জোনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল রেজা চৌধুরী লেবু খান , বিএডিসিতে বীজ দেওয়ার ৫ থেকে ৮ মাস পর কয়েক কিস্তিতে তারা আমাদেরকে টাকা পরিশোধ করে। বাজারে সাধারণ কৃষক যে দামে ধান বিক্রি করে। তার চেও অনেকাংশে কম দামে দিয়ে বিএডিসির কাছে থেকে বীজ নিয়ে যায়। কোন কছিু ক্রয় করার আগে সরকার সেটির মূল্য নির্ধারন করে দেয়।

তবে কেবল মাত্র এই বিএডিসি কোন মূল্য নির্ধারন ছাড়া আমাদের কাছে থেকে বীজ নিয়ে যায়। তারা তাদের মনগড়া ভাবে আমাদেরকে টাকা দেয়। দিন শেষে দেখা যায় বীজ তৈরিতে আমাদরে পরশ্রিম বশেি হচ্ছে এবং উৎপাদন ব্যয়ও বশেি হচ্ছ তবে আমরা টাকা পাচ্ছি সাধারণ কৃষকের চেয়ে কম।

আরেক চাষী জিন্নাহ সিদ্দিক বলেন, বি এ ডিসি আমাদেরকে রোপনরে জন্য বীজ দিয়া যায়। আমরা নতুন করে যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করে বীজ তৈরি করি। আমাদের কাছে থেকে এই বীজ নেওয়ার সময় তারা টালবাহানা শুরু করে। একজন চাষীর কাছে যে পরিমান বীজ নেওয়ার কথা, তার চেয়ে কম নেয়। এতে করে আমাদের উৎপাদিত ধান বীজ বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বীজ নেওয়ার সময় বস্তা ও গাড়ী ঠিক মতো তারা সরবরাহ করে না। এছাড়াও সাধারণ কৃষকের ধান যখন এক হাত সাইজের হয়। তখন বিএডি সি আমাদরেকে বপনের জন্য বীজ দয়ে। তাদের কোন সিস্টেম আমরা কেও ই বুঝতে পারি না।