বাংলাদেশে মানবাধিকার, সুশাসন ও অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলো কাজ করতে গিয়ে সরকারি নিয়ম-কানুন ও মনিটরিংয়ের নামে বহুমাত্রিক চাপের মধ্যে পড়েছে। মূলত অধিকারভিত্তিক এনজিওগুলোকে বিদেশি তহবিল থেকে অর্থ ছাড় পেতে ইদানিং ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে গেছে যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতো পরিচিত সংগঠন তাদের বেশকিছু কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। সীমিত আকারে যেসব প্রকল্প চলছে সেখানেও তাদের কর্মীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে পারছে না।
২০২৩ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে তথ্য না পেয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তথ্য কমিশনে মোট ৬৮৬টি অভিযোগ করেছিলেন। এর মধ্যে ৩২৪টি অভিযোগ আমলে নেয় তথ্য কমিশন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৫২টি অভিযোগ প্রকল্পসংক্রান্ত তথ্য না পেয়ে। বরাদ্দসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে না পেয়ে কমিশনে অভিযোগ আসে ২৯টি। এ ছাড়া দরপত্রসংক্রান্ত ১৭টি, নিয়োগসংক্রান্ত ১২টি তথ্য না পেয়ে অভিযোগ আসে। মোট ১০৬ ধরনের তথ্য না পেয়ে অভিযোগ এসেছে তথ্য কমিশনে।