সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ।এই তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছালে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সাময়িক ছুটি ঘোষণা করেছিল,তা শুরুতেই এক এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এক এক ধরনের ছুটি হওয়াতে তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়েন।
তারপর অবশ্য বয়স ও শ্রেনী অনুযায়ী ছুটির মধ্যে একটা সমঝোতায় পৌছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অতঃপর নতুন কারিকুলামের শিখন ঘাটতি পূরণ করতে সাময়িক শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।এ বিষয়ে অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো প্রয়োজনে মর্নিং স্কুল করার সুযোগ দেওয়া হয়।আর এই সুযোগে মাগুরার অধিকাংশ স্কুল গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে মর্নিং শিফটে ক্লাস শুরু করে।
আর শুরুতে মাগুরার গ্রামের স্কুল গুলোতে এই সুবিধা চালু করলে কিছুটা অসুবিধা পোহাতে হলেও এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। অনেক ছাত্র ছাত্রীদের সকালে খাওয়া দাওয়া করে আসতে দেরি হলেও এখন সব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখন জমে উঠেছে মাগুরার অধিকাংশ স্কুলের মর্নিং শিফটের ক্লাশ। মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী ঈন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন আমাদের স্কুলে শুরুতেই দিবা ও প্রভাতী শিফটে ক্লাশ চালু ছিল তবে তীব্র তাপদাহে রুটিনের আংশিক পরিবর্তন করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে, তবে অধিকাংশ গ্রামের স্কুল গুলোতে মর্নিং শিফটে চালু করাতে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী শিখন ঘাটতি কিছুটা হলেও পুরন করতে সুবিধা হচ্ছে।
তবে তিনি পরিস্থিতি বুঝে বিদ্যালয় সমূহের দৈনন্দিন কার্যক্রম সচল রাখা আবশ্যক মনে করেন। মর্নিং শিফট চালু আছে এমন একটি স্কুল কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেখানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল সকাল সাড়ে সাতটায় সবাই স্কুলে উপস্থিত হয়ে,আটটা থেকে ক্লাশ শুরু করে,, এবং পরিপূর্ণ রুটিনেই ক্লাশ হচ্ছে বলে জানা যায়,।
বিদ্যালয়টিতে এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সুদূর যশোর থেকে ক্লাশ করা শিক্ষক জনাব শাহিনুল ইসলাম বলেন “এই তীব্র গরমে সকালের স্নিগ্ধতা নিয়ে স্কুলে আসতে খুবই ভালো লাগে,,, এভাবে মর্নিং স্কুলে ক্লাশ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন কারিকুলামে শিখন কার্য খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করি।