Print

Rupantor Protidin

অভয়নগরে হতদরিদ্র মানুষের

সরকারি চালের কার্ড নিয়ে অন‍্যায় কারবার

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৮, ২০২৪ , ৬:১৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১৮, ২০২৪, ৬:১৩ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নের সবকটিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ভিজিভি, ভিজিএফ চালের কার্ড নিয়ে অন‍্যায় কারবার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কারসাজিতে হাজার হাজার হতদরিদ্র পরিবারকে ঐ সব চাল পাওয়া সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যে সব পরিবার ঐ সব সরকারি চালের কার্ড পাওয়ার যোগ্য নয়, তাদেরকে দেওয়া হয়েছে চালের কার্ড। ফলে, সরকার ঘোষিত হতদরিদ্র পরিবারগুলো রয়েছে চরম কষ্টে যা দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে ইউনিয়নগুলো ঘুরে জানা যায়, সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ ঐ সব অসহায়-হতদরিদ্র মানুষের প্রাপ‍্য চালের কার্ড নিয়ে আত্মীয় করণ করে, যার যার নির্বাচনে কাজ করেছে এমন বহু অনিয়মভাবে বিত্তবান মানুষের কাছে ২০০০/৫০০০ হাজার টাকায় কার্ড বিক্রি করা হয়েছে। সূত্রে আরোও জানা গেছে, বিত্তশালী পরিবারগুলো চাল বিতরণের দিনে সরকারি চাল কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে দোকানে অথবা বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি যায়। এমনকি পূর্বে যে সকল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন ভাবে হতদরিদ্রের চালের কার্ড দিয়েছিল পরবর্তীতে ইউনিয়নগুলোতে নতুন চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পরে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে থাকা সরকারি চালের কার্ডগুলো কৌশলে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিয়েছে।

উপজেলার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আঁতাত করে বহু চালের কার্ড বাতিল করে দিয়ে ইউনিয়নগুলো থেকে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পাঠানো দুর্ণীতির মাধ্যমে তৈরি করা নামের তালিকা ধরে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ফলে, অভয়নগর উপজেলায় সকল ইউনিয়নে থাকা হতদরিদ্র পরিবারগুলো সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে একাধিক তথ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরোও জানা গেছে, নামে বেনামে বিভিন্ন অনিয়মভাবে সরকারি ওইসব চালের কার্ড তৈরি করে মোটা অংকের চাল আত্মসাৎ করা হচ্ছে। অভয়নগর উপজেলার ওইসব সরকারি চালের কার্ড ইস‍্যুসহ দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের সাথে ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানদের রয়েছে অর্থবাণিজ্যের গোপন সম্পর্ক। যে কারনে দীর্ঘদিন ইউনিয়নগুলোতে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কারসাজিতে ব্যাপক অনিয়ম- দুর্ণীতির মাধ্যমে সরকারি চাল নিয়ে চালবাজি চলমান থাকলেও উপজেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তদন্ত বা আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় অভয়নগর উপজেলাবাসীর মাঝে রয়েছে নানা গুঞ্জন।

হত দরিদ্র না হয়েও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব‍্যক্তিরা সুবিধা পাওয়ায় সরকারের দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পগুলো আজ হুমকির মুখে।