Print

Rupantor Protidin

বিএনপি এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৫, ২০২৪ , ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: মে ১৫, ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ প্রাথমিক যে স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

বুধবার (১৫ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোব্যাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলডমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি, জনগণের সেবার সুযোগ পাই। তখন থেকে আমাদের প্রচেষ্টায় এদেশের মানুষকে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এটা জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। তখন ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দশ হাজারের মতো নির্মাণ করে চার হাজার চালু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় সেখানে ওষুধ দেওয়া হয়, যে কারণে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে কমিউনিটি ক্লিনিক। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তখন বিএনপি ক্ষমতা আসে। প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া, সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।

তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ নজর দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। সেই কমিউনিটি ক্লিনিক আরও আধুনিক করে চালু করা হয়েছে। কমবেশি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান পুরস্কারে ভূষিতও হয়। বিশেষ করে এমডিজি ও ভ্যাকসিনসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমকে সমর্থন করে পাশে থাকার জন্য জাতিসংঘসহ সব দেশকে এসময় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।