Print

Rupantor Protidin

যশোর অঞ্চলে

জ্ঞানচর্চায় নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে ডা. আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১২, ২০২৪ , ১২:০৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১২, ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সমাজের মানুষকে আরো সামাজিক করে গড়েতোলা,  শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা,  শিক্ষকদের জ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত করা ও রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপুর্ণ নির্দেশনা জানানো সহ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ২০০৮ সাল থেকে  পাঠাগার পরিচালনা করে আসছে ফাউন্ডেশনটি। মাগুরা সদরে আমুড়িয়া গ্রামের একজন সুনামি চিকিৎসক, সমাজপতি   ও   স্কুল শিক্ষক  শিক্ষা, সর্বপরি  অনুরাগী ব্যাক্তি ড. আবুল কাশেমের  নাম অনুসারেই মাগুরাতে সর্বপ্রথম ডাঃ আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
  আস্তে আস্তে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলাতে এর কার্যক্রম বিদ্যমান।  ড. আবুল কাশেম  শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ওয়াহিদুজ্জামান যিনি একজন শিক্ষা অফিসার গবেষক ও বহু গ্রন্থের প্রণেতা।  ১৯৯১ সালে শালিখা উপজেলা ১ম, এসএসসিতে মানবিক শাখায় মাগুরা জেলার ৩য় স্থান অধিকার করেন। তিনি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স। বর্তমানে তিনি বাঘারপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি তরুণ সমাজকে বই পড়তে উৎসাহ উদ্দীপনা যোগাতে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলাতেই গণগ্রন্থাগার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন । কখনো বই হাতে নিয়ে ঘুরছেন বিভিন্ন লিয়াজোঁ অফিসে। কখনো বা পায়ে হেঁটে বই বিতরণ করছেন প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে।এবং তরুণদের মধ্যে উদ্দীপনা যোগাচ্ছেন ।ওয়াহিদুজ্জামান ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি এই শিক্ষা অনুরাগী ডাক্তার আবুল কাশেমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্বরণে  মাগুরা আমুড়িয় বাজারে আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশন গড়ে গড়ে তোলেন। সেই থেকে হাটি হাটি পাপা করে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলেছে। এরইমধ্যে ফাউন্ডেশনটির অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য  মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর ও মেহেরপুর জেলায় স্থানীয় ব্যাক্তিদের উদ্বুদ্ধ করে ১৭ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২২ টি শিক্ষামূলক বই প্রকাশ, ২৪ জেলায় ৩৯০ জন আজীবন সদস্য, ও দাতা সদস্য ভক্তি মাগুরা সদরে আমুড়িয়া  বাজারে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবন নির্মাণ। সারাদেশের শিক্ষা বিভাগে ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে ফাউন্ডেশনটি। মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলায় সর্বপ্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন এবং জেলার সিক্ষা তথ্য নিয়ে সর্বপ্রথম মাগুরা এডুকেশন ২০১২প্রকাশ। শিক্ষা সংস্কারের সুপারিশ পত্র প্রেরণ। শিক্ষা ফাউন্ডেশন এর প্রকাশনায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষার উত্তরণ, মাগুরা এডুকেশন ডিরেক্টরি, কুষ্টিয়া এডুকেশন ডিরেক্টরি, কুচিয়ামোড়া ইউনিয়ন ডিরেক্টরি,  একটি শ্রেষ্ঠ মানুষেরা অনুকরণীয়, নির্মোহ মানুষেরা,  আজীবন সদস্য ডিরেক্টরি, শিক্ষা বাণী সহ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে ত্রৈমাসিক শিক্ষা ফাউন্ডেশন পরিক্রমা।
 লাইব্রেরী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশন চষে বেড়ায় বিভিন্ন জেলা-উপজেলা। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটির অধীনে ১৯টি  গণগ্রন্থাগার লাইব্রেরী স্থাপিত হয়েছে। তার ভিতরে মাগুরার দুটি, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রোডে, কুমারখালীতে, মেহেরপুর, মোহাম্মদপুর,  ঝিনাইদহ শহরে এবং শৈলকুপা, যশোর শহরে রেল  রোডে  এবং বাঘারপাড়া উপজেলায় ফাউন্ডেশন কর্তৃক সরাসরি প্রচারিত হয় লাইব্রেরি কার্যক্রমে। কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে এসব গনগ্রহন্থগার। ফরিদপুর জেলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাইব্রেরীতে মাগুরা শহরের ১৫  জন সরকারি চাকরিজীবী /অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিবর্গ শাখা কমিটিগুলো পরিচালনা করে আসছে।শাখা অফিস গগুলোতে ১১ সদস্যের কমিটি আছে। সারাদেশে পাঠক আনুমানিক ১২ হাজার।  প্রতিষ্ঠাতা  ওয়াহিদুজ্জামান জানান এই সংগঠনটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার প্রয়াস চলছে। দেশের অন্যান্য স্থানের  ভালো মানুষ, মরহুম ব্যক্তিদের নামে সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি করুন এটাই কামনা করি। ঐতিহ্য রক্ষা করা প্রয়োজন তাই মরহুম পিতা- মাতা শিক্ষক গুণীজনদের নামে প্রতিষ্ঠিত হোক। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুণী ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা হোক।
জ্ঞানের চর্চায় দেশে গুণীর কদর বাড়ুক। দেশে গুণী মানুষ তৈরি হোক দেশে এটাই আমার কামনা। শুধু টাকার পেছনে দৌঁড়ানো নয় দরকার মানবসেবা।  ভবিষ্যতে সরকার ডা. আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশনকে  একটি চেক-আপ করুক এটি স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত হোক। তরুণদের ব্যাপারে ওহিদ বলেন যুবকদের সচেতন হতে হবে। তারা কর্ম সময়নিষ্ঠ পরিশ্রমই উদ্যমী ও সামাজিক হবে। তাদের জীবন মানের উন্নয়নে বই পড়ার বিকল্প নেই।  আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশন মাগুরা ও যশোর জেলায় ৪  টি যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠাতা রয়েছে।