শাশুড়ীকে ভরনপোষণ দিতে বলায় বৌদিকে মেরে নাক ফাটিয়ে দিলো দেবর শুকদেব মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটে ১১ই মে শনিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর পৌরসভার চন্ডিপুর গ্রামে। বাসুদেব মন্ডলের স্ত্রী সুষমা রানী মন্ডল (২৮) কে রক্তাক্ত অবস্থায় শ্যামনগর থানায় হাজির হতে দেখা যায়।
সুষমা রানীর স্বামী বাসুদেব মণ্ডল বলেন,বাবা মারা যাওয়ার আগে মায়ের নামে ৩ লক্ষ টাকা রেখে যান। মাকে ভরনপোষণ দিবে বলে মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বাবার রেখে যাওয়া টাকা আমার মেজ ভাই নিয়ে আজ মাকে আলাদা করে দেয়। টাকা গুলো নিয়ে মাকে আলাদা করে দিলে কেন এই কথা বলায় ঘরে ঢুকে আমার বৌ এর শাড়ী কাপড় ধরে টানাটানি করে এলোপাতাড়ি মারপিট সহ গলা চেপে ধরে নাকি ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। বর্তমানে সুষমা রানী শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। যদিও বাসুদেবের মা বিনোদীনি মন্ডলের দাবি বাদানুবাদের সময় দেবরকে শাবল দিয়ে মারতে যেয়ে আহত হয়েছেন তার বৌমা।
অভিযুক্ত শুকদেব মন্ডল জানায় পিতার মৃত্যুর পর থেকে মা তার সংসারে থাকে। যার প্রেক্ষিতে মায়ের কিছু জমি-জমা থাকলেও সেসব ফসল তিনি ভোগ করেন। এসব বিষয় নিয়ে তার বড় বৌদি প্রায় ঝগড়া করেন। শনিবার একইভাবে বাদানুদাদের এক পর্যায়ে বৌদি তাকে শাবল দিয়ে মারতে যেয়ে নিজের নাকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তাদের বৃদ্ধা মা বিনোদীনি মন্ডল জানায় মেজ ছেলের সংসার থেকে তাকে বের করে দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা। বরং মেজ ছেলের সংসারে থাকায় তার নামীয় জায়গা-জমি সে ভোগ করায় বড় বৌমা প্রায়ই অশান্তি করে। শনিবার একই ধরনের ঘটনায় দু’জন বাদানুবাদে জড়ালে সুষমা রানী তার ছেলে শুকদেবকে মারতে যেয়ে নিজের ছুড়ে মারা শাবলের আঘাতে আহত হয়েছেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওরা থানায় এসেছিলো। চিকিৎসা নিতে শ্যামনগর হাসপাতালে গিয়েছে। কিন্তু এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।