Print

Rupantor Protidin

সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটার হাসখালি বিলে

জমি ক্রয় করে বিপাকে সিরাজুল ইসলাম

প্রকাশিত হয়েছে: মে ১১, ২০২৪ , ৮:১৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ১১, ২০২৪, ৮:১৬ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার হাসখালি বিলে জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ মীর আসাদুজ্জামান একের পর এক মিথ্যা কাল্পনিক ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগ খাড়া করছেন বলে অভিযোগ করেন সিরাজুল ইসলাম। জানাযায়, সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন খলিশখালি ইউনিয়ন এর গাছা মৌজায় আর,এস, প্রজা খোদেজা বেগম,আনোয়ারা বেগম দিংদের নিকট থেকে ৯ একর ৮২ শতক জমি ক্রয় করেন মাগুরা এলাকার সিরাজুল ইসলাম । সুত্র মতে, পাটকেলঘাটা থানাধীন গাছা মৌজার সি,এস,খতিয়ান – ১৪, প্রজা জতিষ ঢালী,আশুতোষ ঢালী দিংদের প্রত্যেকের প্রাপ্য জমির পরিমান ৮ একর ৮২ শতক। মোট জমির পরিমান ২৬ একর ৪৬ শতক। গত ইং ০৮-০৫-১৯৪৪ সালে ৪৫২৪ নং রেজিস্ট্রি কোবলামুলে সি,এস প্রজাদের নিকট থেকে প্রভাবতি ধর সমুদয় জমি ক্রয় করে। সে মোতাবেক প্রভাবতি ধর এর নামে এস,এ,২৮ নং খতিয়ানে ১৯ একর ৬৪ শতক জমি রেকর্ড হয়। উক্ত প্রভাবতি ধর এর নিকট থেকে গত ইং ১৯-০৯-১৯৬৫ সালে ১৫৫১ নং পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি মুলে ওমর উদ্দিন মন্ডল, কায়েস উদ্দিন মন্ডল, বায়েস উদ্দিন মন্ডল, হাতেম মন্ডল ১৯ একর ৬৪ শতক জমি ক্রয় করেন। সে অনুযায়ী তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্য জমির পরিমান ৪ একর ৯১ শতক।

উক্ত এস,এ প্রজা প্রভাবতি ধর গত ইং ০৮-১০-১৯৬৯ সালে ১০৯৪৯ নং বিনিময় সুত্রে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি মুলে ভারত হতে পশ্চিম বাংলার মঙ্গল মাহমুদপুর মৌজার সমপরিমাণ জমি বিনিময় করে। উক্ত বিনিময় কৃত জমি ০৪ জনের নামে অর্থাৎ ওমর উদ্দিন মন্ডল, কায়েস মন্ডল, বায়েস উদ্দিন মন্ডল, হাতেম মন্ডল দিংদের নামে সাতক্ষীরা এস,ডি,ও অফিস হতে যথাক্রমে বৈধ হয়। জমির পরিমান ১৯ একর ৬৪ শতক। উল্লেখিত বিনিময় সুত্রে প্রাপ্ত কায়েস উদ্দিন মন্ডল ও বায়েস উদ্দিন মন্ডল হইতে আর,এস প্রজা খোদেজা বেগম ও আনোয়ারা বেগম দিং গত ইং ২৮-০১-১৯৭০ তারিখ ৯ একর ৮২ শতক জমি ৩২৮ নং কোবলা দলিল মুলে জমি ক্রয় করে।

ক্রয়কৃত জমি যথাক্রমে খোদেজা ও আনোয়ারা দিংদের নামে ১৯৭৫-১৯৭৬ সনে ১৫৮৪ নং নামপত্তন হয়। উল্লেখ্য তালা উপজেলার সেটেলমেন্ট জরিপ শুরু হলে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল থাকা অবস্থায় খোদেজা বেগম এর নামে গাছা মৌজার অধীনস্থ আর,এস ২৯৮ নং খতিয়ানে ৯ টি হাল দাগে ৬ একর ৯৭ শতক জমির রেকর্ড হয়। সে মোতাবেক আনোয়ারা বেগম এর নামে একই মৌজার আর,এস ১০৯১ নং খতিয়ানে ৮ টি দাগে ৫ একর ১৮ শতক জমি আনোয়ারা সহ তার স্বামী হাবিবুর রহমান, এক পুত্র ও এক কন্যার নামে রেকর্ড হয়। আর,এস প্রজা খোদেজা বেগম ও আনোয়ারা বেগম দিংদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভোগদখল থাকা অবস্থায় তাদের নিকট থেকে তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ৯ একর ৮২ শতক জমি ক্রয় করেন।

বর্তমানে জমিতে মৎস্য ঘের থাকায় তিনি মাছ ছেড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে দখলে আছেন। এদিকে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ক্রয় করে প্রতিপক্ষ মীর আসাদুজ্জামান কর্তৃক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, আসাদুজ্জামান আমাকে আগুন দিয়ে ঘর জানিয়ে দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে আমাকে হয়রানি করার নিমিত্তে বিভিন্ন সময় মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ খাড়া করছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।