Print

Rupantor Protidin

ওসি যায় ওসি আসে সাব ইন্সপেক্টররা বহাল তোবিয়তে

প্রকাশিত হয়েছে: মে ৯, ২০২৪ , ৫:১৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ৯, ২০২৪, ৫:১৫ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ও পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের প্রত্যেকটি থানায় ওসি যাচ্ছে ওসি আসছে। কিন্তু বহাল তবিয়তে থেকে যান সাবইন্সপেক্টরা।
এই বহাল তবিয়তের দুটো দিক রয়েছে। পুরনো লোক এলাকা ভালোভাবে চিনেন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন একই এলাকায় থাকার কারণে অপরাধীদের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরা পূর্ব, পশ্চিম,,বিমানবন্দর,তুরাগ,  দক্ষিণ খান, উত্তরখান থানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়   অনেক সাব ইন্সপেক্টর আছেন যারা দুই থেকে তিন বছর যাবত একই থানায় কর্মরত আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানায় কর্মরত অনেক কনস্টেবল বলেন যারা পূর্বে এ থানাগুলোতে ছিলেন তারা পুনরায় আসার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করে আসতে দ্বিধাবোধ করছেননা। ইতিমধ্যে দু একজন এসেছেন বলেও জানা যায়। কি আছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তরা বিভাগে? প্রশাসনিক কাঠামোই শুধু লক্ষ করেন ওসিরা। মাঠ পর্যায়ের সবকিছু তাদের নখ দর্পণে থাকেনা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়ী সহ সবধরনের শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মিশতে হয় সাব ইন্সপেক্টরদের। তবে তাদের মধ্যে কিছু কিছু অসৎ অফিসার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের আখেরাত গুটিয়ে যাচ্ছেন।
সমাজের অনেক ছোট বড় অপরাধীরা তাদেরকে ভাই বলে সম্বোধন করে থাকতেও দেখা যায়। অনেক ইন্সপেক্টর মনে করেন মাঝে মাঝে সাব ইন্সপেক্টরদেরও একই থানায় এক বৎসরে বেশি না রেখে অন্যত্র বদলীর ব্যবস্থা করা হলে  কিছু অপরাধ কমতে  পারে।  এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি  করতে  গিয়ে টেলিফোনে কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়ার সাথে। তাকে প্রশ্ন করা হলে একই থানায় সাব ইন্সপেক্টররা দীর্ঘদিন যাবত থাকলে অপরাধমূলক কাজে জড়াতে পারে। উত্তরে তিনি বলেন নাও জড়াতে পারে। পরিশেষে এই বিষয়ে তার কোন পদক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নিয়ন্ত্রনাধীন। তবে মাঝেমধ্যে  আমরা কিছু রুটিন মাফিক কাজ করেই থাকি। সমাজের সচেতন নাগরিকরা মনে করে এই ধরনের পেশায় কাউকেই দীর্ঘদিন একই জায়গায় রাখলে সে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারে।