Print

Rupantor Protidin

বরিশালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে ববিতে আঞ্চলিক ইতিহাস সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত হয়েছে: মে ৯, ২০২৪ , ৪:০৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: মে ৯, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ

Sheikh Kiron

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তর বরিশালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক  “আঞ্চলিক ইতিহাস সম্মেলন ২০২৪”। বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ বৃহস্পতিবার ৯ মে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

 সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদেরকে ইতিহাস জানতে হবে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। জানতে হবে বাঙলীর সঠিক ইতিহাস। কারন ইতিহাসই একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করে। যে জাতি যত সমৃদ্ধ তাদের ইতিহাসও তত সমৃদ্ধ। আমরা যদি বাঙালীদের সুদীর্ঘ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।

মেয়র আরও বলেন, আমরা বিজ্ঞানের কল্যানে বর্তমানে যত আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি সেই আধুনিক সভ্যতার সকল কিছুর পেছনে রয়েছে ইতিহাস। আধুনিক বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে কোন না কোন ইতিহাস। সফলতা অর্জনের জন্য সফল ব্যক্তিদের ইতিহাস জানতে হবে। আমাদের ইতিহাসই হচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।

  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।

 মুখ্য বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ অধ্যাপক ড. অমিত দে। বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী।

দিনব্যাপী আয়োজিত এ সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে সর্বমোট ৫১টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। আঞ্চলিক এ সম্মেলনে  ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজসহ দেশ-বিদেশের বরেণ্য ইতিহাসবিদগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সম্মেলনে বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।