Print

Rupantor Protidin

রাজবাড়ীতে নিজেদের মধ্যে লড়াই আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত হয়েছে: মে ৯, ২০২৪ , ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: মে ৯, ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

Sheikh Kiron

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন বতর্মান চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান (ওদুদ)। আগের মেয়াদেও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর প্রতীক আনারস। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। সেই নির্বাচনে রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী–২ আসনের (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম তাঁকে সমর্থন দিয়েছিলেন বলে আলোচনা ছিল।

চেয়ারম্যান পদে আরেক প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তাঁর প্রতীক মোটরসাইকেল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবার তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। এই প্রার্থীর পক্ষে রেলমন্ত্রীর ছেলে আশিক মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা-কর্মীরা প্রচারে সরব ছিলেন।

নির্বাচনের আগে আলোচনা ছিল, যেহেতু রেলমন্ত্রী চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন, নির্বাচনের দিন সাইফুলকে জেতাতে সব শক্তি ব্যবহার করবেন তিনি। অবশ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। এই উপজেলায় সংঘাতের আশঙ্কাও করেছিলেন কেউ কেউ। তবে ভোটের সময় ও ভোটের ফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত এই দুই প্রার্থীর কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া এই উপজেলায় বড় ধরনের সহিংসতা হয়নি। পাশাপাশি দৃশ্যমান বড় কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। তবে একটি কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আরেকটি কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের এজেন্ট ভোটারদের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাংশা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল আল মাসুদ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তীব্র গরমের মধ্যে ভোটাররা এসেছেন, এটাই বা কম কি।

তবে পাংশা উপজেলার জশাই ইউনিয়নের বাসিন্দা ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেন মনে করেন, সব দল নির্বাচনে না থাকলে তো মানুষজন কেন্দ্রে যাবেন না। অবস্থাও তা–ই হয়েছে। আর মৌরাট ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যতটা আওয়াজ ছিল তার কিছুই হয়নি, মানুষজনও ভোটকেন্দ্রে যাননি।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা উঠান বৈঠক করেছেন, শোডাউন করেছেন; কিন্তু ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাননি। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার এটিও অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। আবার অনেকে বলছেন, ঘুরেফিরে একটি দলের কেউ না কেউ ভোটে জয়ী হবেন, এমন ধারণা থেকেও সাধারণ ভোটারের আগ্রহ ছিল না।